অর্জুন সিংয়ের দলবদলের জল্পনার মধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রবিবার দুপুরে তিনি বলেন, কিছু লোক ক্ষমতার অলিন্দে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। কিন্তু বিজেপি তার নীতি - আদর্শের সঙ্গে কোনও আপস করবে না।
এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘অর্জুন সিং তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। প্রতিদান হিসাবে তৃণমূল তাঁর গলায় ১২২টা মামলার মালা পরিয়েছিল। তিনি আক্রান্ত হয়েছেন, ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন। তাঁর বাড়ির সামনে ও শ্রমিক ভবনের সামনে নিয়ম করে বোমাবাজি চলেছে। তাঁর সহকর্মী খুন হয়েছেন। তাঁর পুত্র আক্রান্ত হয়েছে। আপনারা তাঁকে দিয়ে বলাতে চাইছেন তিনি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন’।
এদিন তৃণমূলের উত্থানের পিছনে বিজেপির ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে অটলবিহারী বাজপেয়ীর যদি সেদিন কংগ্রেসকে না সরিয়ে ভারতের শাসনক্ষমতায় আসা নিশ্চিত না হত কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল জন্ম নিত না। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আশীর্বাদেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হয়েছে। আমাদের কাছে এই ঘটনার খুব বেশি মূল্য নেই। কারণ বহু রাজনৈতিক উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে বিজেপি আজকে ২ থেকে ৩০৩এ পৌঁছেছে। কোনও দলকে না ভেঙে। নিজেদের মতাদর্শের সঙ্গে আপস না করে। কারও কাছে রাজনৈতিক ও নীতিগতভাবে আত্মসমর্পণ না করে এই সাফল্য পেয়েছি আমরা। যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা এতো রাজনীতিতে চলে’।
অর্জুন সিংকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মানুষের সামনে সমস্ত কিছু রয়েছে। কারা দলে এসেছিল। কারা কোন কারণে দল ছেড়েছেন। সবাই সব জানেন। কিছু মানুষ আছেন যারা ক্ষমতার অলিন্দে সম্পৃক্ত থাকতে ভালোবাসেন। বিজেপি একটি মতাদর্শভিত্তিক দল। এখানে ব্যক্তির তেমন কোনও গুরুত্ব নেই। তবে দেশের মানুষ বিশ্বাস করেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকার শিল্প বা শ্রমিক বিরোধী কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না’।