জোর ধাক্কা খেলো এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক এবং তাঁর দলবল। এমনকী দোকান মালিকের প্রবল বাধায় পিছু হটতে বাধ্য হল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক ও ফোর্স। এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, কলকাতা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক যুগলকিশোর দা–কে আইনিভাবে বুঝে নেওয়ার হুমকিও দেয় দোকানের মালিক।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক যুগলকিশোরের কাছে খবর ছিল বড়বাজারের রাজাকাটরার একটি গোডাউনে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি সিগারেট অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছে। সেই সূত্রের উপর ভিত্তি করে তিনি চন্দন পাল চৌধুরী নামে এক দোকানের মালিককে তার গোডাউন খুলে দেখানোর নির্দেশ দেন। তখনই দোকানের মালিক চন্দন তেড়ে যান। এমনকী গোডাউন দেখাতে অস্বীকার করেন। তারপরেই সেখানে চন্দনবাবুর ছেলে সন্দীপ পাল চৌধুরী এবং তার আইনজীবী অভিষেক চক্রবর্তী চলে আসেন।
তুমুল তর্ক–বিতর্ক থেকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। পুলিশকে তাদের পছন্দমতো গোডাউন দেখাতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে পুলিশের কাজে বাধাও দেওয়া হয়। বড়বাজার, রাজাকাটরা বিল্ডিংয়ে প্রচুর ব্যবসায়ীর দোকান–গোডাউন রয়েছে। এখানেই এনফোর্সমেন্ট গোয়েন্দারা তালা খোলার লোকও পর্যন্ত নিয়ে আসে। ধাক্কাধাক্কি করেও একটি গোডাউনও খোলাতে পারেননি তাঁরা।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে গোডাউন মালিকের আইনজীবী অভিষেক চক্রবর্তী সার্চ ওয়ারেন্টের কাগজপত্র দেখতে চান। ইবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা এইভাবেই তল্লাশি করে থাকেন এবং প্রয়োজনে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে মামলাও করেন। তখন বিতর্ক আরও দানা বাধে। অবশেষে প্রবল বাধা পেয়ে ফিরে যেতে হয় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে। এই সন্দীপের বিরুদ্ধে একবছর আগে অবৈধভাবে বিদেশি সিগারেট রাখার অপরাধে মামলা হয়েছিল। যা এখনও চলছে।