‘কথায় আছে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। প্রার্থী হওয়ার পর দেবাশিস ধর তারা মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। মা সুবিচার করেছেন।’ বীরভূমে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়া বিজেপির প্রার্থীকে এভাবেই আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শনিবার বীরভূমের খয়রাশোলে দলের প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দেবাশিস ধরকে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
আরও পড়ুনঃ ‘আদালতের যুক্তি ধরে নিলে কলকাতা হাইকোর্টও তুলে দিতে হবে’, দাবি অভিষেকের
এদিন নির্বাচনী সভা থেকে তিনি বলেন, ‘বিজেপিকে ধন্যবাদ জানাই যে তৃণমূলের যত আবর্জনাকে আমরা বার করে দিয়েছিলাম সেই আবর্জনাগুলিকে ২০২১ সালে বিজেপি নিয়েছিল বলে তৃণমূলের ফল এত ভালো হয়েছিল।’ এরপরেই দেবাশিস ধরকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতা।
তিনি বলেন, ‘সরকারের আবর্জনা হলেন দেবাশিস ধরের মতো লোকেরা। তাঁর কারণে শীতলকুচিতে ৫ জন মারা গিয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে দিনের আলোতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি করে ৫ জন নির্দোষ বাঙালিকে মেরেছিল। আজকে তাঁর প্রতি যোগ্য বিচার হয়েছে।’তখন দেবাশিসকে কটাক্ষ করে তিনি মন্তব্য করেন, ‘পাপ বাপকে ছাড়ে না।’ এর পাশাপাশি বিজেপিকেও নিশানা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘বাংলার পবিত্র মাটিকে বিজেপি কীভাবে কালিমালিপ্ত করেছে তা আপনারা দেখেছেন।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের লোকসভা নির্বাচনে শীতলকুচির ঘটনা ঘটে। সেই সময় সিআরপিএফ জওয়ানদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচজনের। ঘটনার সময় শীতলকুচির পুলিশ সুপারের দায়িত্বে ছিলেন দেবাশিস। তবে এই ঘটনার পরে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দেবাশিস ধর তাৎপর্যপূর্ণভাবে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এর পরেই দল তাঁকে বীরভূম থেকে প্রার্থী করে। কিন্তু, তবে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দেন নির্বাচনী আধিকারিক।
সেক্ষেত্রে দাবি করা হয়, রাজ্য পুলিশের চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেও তিনি রাজ্য সরকারের তরফে ছাড়পত্র পাননি। সেই যুক্তি দেখিয়ে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তিনি ভোটে লড়তে পারবেন না। পরে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেও আদালত মামলা গ্রহণ করেনি। ফলে বীরভূম দেবতনু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।