১০০০ দিনের উপর রাস্তায় বসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসুর সঙ্গে বৈঠক ছিল চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁদের দাবি, নিয়োগ জট খোলার ব্যাপারে ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিয়োগপত্র দেওয়ার সংক্রান্ত নোটিশ জারি করা হবে বলে সরকারের তরফে বলা হয়েছে। কিন্তু সেটা কীভাবে হবে সেটা অবশ্য় চাকরিপ্রার্থীরা বলতে পারেননি।
এদিন বঞ্চিত আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক ছিল। সেখানে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। আর সেখান থেকে বেরিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ জানিয়ে দেন, ১ ফেব্রুয়ারির মধ্য়েই আমাদের নিয়োগ সংক্রান্ত নোটিফিকেশ জারি করা হবে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই এটা বলা হয়েছে আমাদের কাছে। তবে আইনি জটিলতা কীভাবে মেটানো সম্ভব সেটা পুরোটাই নির্ভর করছে সরকারের উপর।
দিনের পর দিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। সম্প্রতি মাথা নেড়া করেও তাঁরা আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। এই ছবি দেখে চমকে উঠেছিল গোটা বাংলা। এরপর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আন্দোলনস্থলে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে যান। কিন্তু দিনের পরে দিন আন্দোলন করার পরেও কেন তাদের চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। তবে এতদিন পরে অবশ্য় চাকরির নিয়োগপত্র পাওয়া নিয়ে বড় আশ্বাস মিলল।
বৈঠকে উপস্থিত চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, যারা প্রকৃত চাকরিপ্রার্থী, যারা সঠিক যোগ্য, ওএমআর শিটে কোনও বিভ্রান্তি নেই তাঁরা চাকরি পাবেন। আইনি জটিলতা কীভাবে কাটবে, কীভাবে তাঁরা ভাববেন সেটা পুরো তাঁদের ব্যাপার। আমরা সাধারণ চাকরিপ্রার্থী। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকেও এনিয়ে নির্দেশ এসেছে। ১ লা ফেব্রুয়ারির মধ্য়ে আমাদের নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাাপরে একটা নির্দেশিকা জারি করা হবে।
এদিকে এই ডেডলাইনের কথা শুনে সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ১ লা ফেব্রুয়ারি কেন ১০ মিনিটেই তো ওঁদের চাকরি দেওয়া যায়। শুধু অবৈধভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের বের করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করতে হবে। তার জন্য় এত দেরি কেন?
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। ভোটের জন্য ঘোষণা করা গেল না, বা আইনি জটিলতা রয়েছে একথা বলে সরকার জানুয়ারির শেষে পিছিয়ে আসে কি না সেটাই দেখার।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বিষয়টি খুব জটিল। নির্দিষ্ট অমুক দিন অমুক সময় জট খুলে যাবে এটা বলা যাবে না। ৩১ শে জানুয়ারির মধ্য়ে জট কাটানোর ব্যাপারে তাঁরা বলেছেন। তবে দিনক্ষণ, পাঁজি দেখে ওইভাবে দিনক্ষণ বলা যাবে না। তবে মুখ্য়মন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট কোনও দিনের কথা বলা হয়নি। নতুন করে আইনি জটিলতা যদি না আসে প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে তাঁরা বলেছেন, ৩১শে জানুয়ারির মধ্য়ে। দুপক্ষ ঐক্যমত্য়ে পৌঁছন গিয়েছে।