বিজেপি ছেড়েছেন অনেক আগেই। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পরেই শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গ বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। বিজেপিতে থাকার সময় কীভাবে তাদের সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছিল, তাদের সঙ্গে কী ব্যবহার করা হয়েছিল সেই সমস্ত চাপা ক্ষোভ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উগরে দিলেন শোভন-বৈশাখী। একইসঙ্গে, সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাদের হানিমুন নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন তার পাল্টা জবাবও দেন শোভন-বৈশাখী।
বিজেপিতে থাকাকালীন তারা একের পর এক দলের রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। বৈশাখী বলেন, ‘বিজেপিতে মহিলাদের সম্মান দেওয়া হয় না। তাদের কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়। একজন গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা রয়েছে বিজেপির মধ্যে তা নেই। বিজেপিতে অনেক গোঁড়ামি রয়েছে।’ তাঁর দাবি, ‘শোভনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপি নেতারা বলতেন আড়ালে বলতেন শোভন কেন বৈশাখীকে একা ভোগ করবে।’ রাজ্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ আনতে শোনা যায় শোভন এবং বৈশাখীকে।
তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভালো ব্যবহার করলেও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তারা মোটেই ভালো ব্যবহার পাননি। এমনকি খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েও তাদের অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন বৈশাখী। এই সমস্ত বিভিন্ন কারণেই তারা বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান। এরপরে তৃণমূলে কবে থেকে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করবেন সে বিষয়েও ইঙ্গিত দেন শোভন-বৈশাখী। শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দিদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক আগে যেমন ছিল এখনও তাই রয়েছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরের পর আমি আবার নবান্নে গেলাম।’
অন্যদিকে, শোভন এবং বৈশাখী নবান্নে যাওয়ার পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘ওনারা নবান্নে যাবেন, নাকি মধুচন্দ্রিমায় যাবেন সেটা ওদের নিজস্ব বিষয়। ওদের নতুন বিয়ে হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে বৈশাখী দাবি করেন, ‘ সুকান্ত আমার বাড়িতে এসেছিলেন সাংসদ হওয়ার আগেই। দলনেতা টাকা না দেওয়ায় ফোন করে আর্জি জানিয়ে সুকান্ত আমার ফ্লাটে এসেছিলেন। আজ সুকান্ত মজুমদার যেন সেই কথা ভুলে না যান।’ বৈশাখীর পাল্টা কটাক্ষ, ‘সুকান্ত মজুমদার সেদিন আমার বাড়িতে পলিটিক্যাল হানিমুন করতে এসেছিলেন।’