পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনায় স্তূপীকৃত টাকা উদ্ধার হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্য বা অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে তা হয়নি। তাই পার্থর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে দলের উপায় ছিল না। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর দাবি, মানিক ও অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত নয়। সৌগতবাবুর এই মন্তব্যকে ব্যাপক আক্রমণ করেছেন বিরোধীরা।
এদিন সৌগতবাবু বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে স্তূপীকৃত টাকা উদ্ধার হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের তো অনেক তদন্ত হল। পুলিশ স্তূপীকৃত টাকা পায়নি। এখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, অমুক – তমুক বলছে। এগুলো সবই প্রমাণসাপেক্ষ। সেইজন্য দল অপেক্ষা করছে’।
'ইন্দোনেশিয়ায় তো ৮৫% মুসলিম..', ভারতীয় নোটে লক্ষ্মী-গণেশের ছবির দাবি কেজরির
তিনি আরও বলেন, ‘অনুব্রতর ক্ষেত্রেও তো বলছে, এখানে অ্যাকাউন্ট আছে, ওখানে অ্যাকাউন্ট আছে। এগুলোর ব্যাপারে তো কিছুই প্রমাণিত নয়। ওখানেও দুর্নীতির কোনও নগ্ন নিদর্শন পাওয়া যায়নি। কাগজপত্র কী পেয়েছে সেটা আলাদা কথা’।
সৌগতবাবুর স্বীকারোক্তি, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্যই দলের বিড়ম্বনার কারণ। যে টাকাটা ওর সহযোগীর কাছ থেকে ধরা পড়েছে সেটা সবাই দেখেছে। তার পর তো দল চুপ করে বসে থাকতে পারে না। বাকিগুলো তো কোনওটাই প্রমাণিত হয়নি’।
সৌগতবাবুর মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূল নেতারাই এখন রাজ্যের মানুষের বিড়ম্বনার কারণ। উনি অধ্যাপক ছিলেন বটে। কিন্তু এখন ওনার আবার স্কুলে ভর্তি হওয়া উচিত। ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা ওনাকে নৈতিকতা শিখিয়ে দেবে।’ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওনার বয়স হয়েছে। রাতে ওনার ভালো করে ঘুম দরকার।’