যে স্কুলে বিষয়ভিত্তিক একজন করে শিক্ষক শিক্ষিকারা রয়েছেন, সেই সমস্ত একক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উৎসশ্রী পোর্টালে বদলির আবেদনপত্র ফেরত আসছে বলে অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, স্কুলের একক শিক্ষা কর্মী ও গ্রন্থাগারিকদের আবেদন ফিরে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একইরকম ভাবে প্রাথমিক স্তরের যে সমস্ত স্কুলে পড়ুয়াদের চেয়ে শিক্ষকদের সংখ্যা কম, সেখানেও এই বদলির আবেদন করা যাচ্ছে না।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের অভিযোগ, স্কুলের একক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে বদলির আবেদন স্কুল প্রধানের 'নো অবজেকশন' শংসাপত্র-সহ স্কুল থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)—র কাছে পৌঁছানোর পরে সেগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সেখান থেকে বলা হচ্ছে , বিষয়ভিত্তিক একমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির বিষয় ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। একই রকমভাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে যদি দেখা যাচ্ছে, যে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের চেয়ে শিক্ষক কম রয়েছে, সেখানেও এসএসসি থেকে বদলির আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।
এই অভিযোগের পাল্টা এসএসসি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, সব দিক খতিয়ে দেখেই বদলির সুপারিশ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক বদলির প্রক্রিয়া শহরমুখী হয়ে গেলে, গ্রামাঞ্চলে শিক্ষকের অভাব দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অবশ্য শিক্ষক সংগঠনগুলোর বক্তব্য, যে স্কুলে একমাত্র শিক্ষক রয়েছেন, তাঁদের বদলি হয়ে গেলে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পঠন-পাঠন চালানোর মতো আর কোনও শিক্ষক থাকবে না। ফলে, পড়ুয়াদের পড়াশুনা ব্যাহত হবে এটা যেমন একদিক দিয়ে ঠিক, তেমনই আবার এটাও ঠিক যে, কোনও কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে বদলির প্রয়োজন রয়েছে।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অকারণে কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকার বদলির ছাড়পত্র আটকে রাখতে পারবেন না-প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শিক্ষকদের প্রশ্ন, যদি তাঁদের আবেদনই ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তা হলে বদলির ছাড়পত্র পাওয়ার প্রশ্ন উঠছে কোথায় ?