কলকাতার প্রথম আর্বান ফরেস্টকে বাঁচাতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। সবুজ বাঁচানোর নিরিখে নিঃসন্দেহে অত্য়ন্ত বড় পদক্ষেপ। মেয়ো রোড ও জওহরলাল নেহেরুর মাঝে তৈরি হয়েছিল মহানগরীর প্রথম শহুরে জঙ্গল। কিন্তু সেসব আজ অতীত। বর্তমানে সেই জায়গার অনেকাংশে আবর্জনা ফেলা হয়। গাছের গুড়িও দেখা যায় মাঝেমধ্য়েই। মূলত কিছু সবুজের অংশ আছে এখনও। তবে পরিচর্যার অভাবে পরিস্থিতি ক্রমেই বিগড়ে গিয়েছে। সেই সবুজকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।
২০০৪ সালে মনোহর দাস তরাগের কাছে এই জঙ্গল তৈরি করা হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল শাল, মহুল, পিয়াল। হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন সেই সময় এই জঙ্গল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল। মূলত পাঁচটি ফ্লাইওভার তৈরির জন্য প্রায় ১৫০০ গাছ সেই সময় কাটতে হয়েছিল। তারপরই কার্যত ক্ষতিপূরণের অঙ্গ হিসাবেই এই জঙ্গল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এই সবুজের উদ্বোধন করেছিলেন।
এবার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেই জঙ্গল বরাবর বেড়া দেওয়া হবে। পাশের ফুটপাতে পেভার ব্লক দিয়ে মুড়ে দেওয়া হবে। এখানে পে অ্য়ান্ড ইউজ শৌচাগার করা হবে। যাতে জঙ্গল নষ্ট করার সুযোগ কেউ না পায় সেজন্য় এলাকায় নজরদারি রাখা হবে।
বনদফতর সূত্রে খবর, শাল, সেগুন, মহুল, পিয়াল, অর্জুন, নিম, ডুমুর, বট ও অন্য়ান্য ওষধি গাছ রয়েছে এলাকায়। সেই জঙ্গলকে বাঁচাতে নয়া উদ্যোগ সরকারের।