হাতে আর একসপ্তাহ বাকি। তারপরই গোটা রাজ্য মেতে উঠবে দুর্গাপুজোর উৎসবে। কিন্তু সেখানে কপালে ভাঁজ ফেলেছে ডেঙ্গি। গোটা রাজ্যে বেড়ে গিয়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। আট থেকে আশি আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে আলাদা করে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সেক্ষেত্রে দু’দফায় অভিযান চলবে। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য।
ঠিক কী নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে? পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দু’দফায় করতে হবে এই সাফাই অভিযান। প্রথম দফার সূচি অনুযায়ী, ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর এবং দ্বিতীয় দফায় ১১ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর অভিযান চলবে। প্রত্যেক ওয়ার্ডের অলি–গলি থেকে শুরু করে ফাঁকা জমি, বন্ধ নালা এবং পুজো মণ্ডপগুলিতে সাফাই অভিযান চলবে। কোথাও জল যেন জমে না থাকে সেটা দেখতে হবে। দুর্গাপুজোর আগে ও পরে এই সাফাই অভিযান ডেঙ্গি রুখতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এই সাফাই অভিযানের জন্য নোডাল অফিসার করা হয়েছে কমিশনার বা এক্সিকিউটিভ অফিসারদের। গোটা ব্যবস্থাপনা তাঁরা মনিটরিং করবেন বলে সূত্রের খবর। তাঁরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং পুরকর্মীদের একছাতার তলায় নিয়ে এসে নিয়ে গোটা অভিযানটির পরিকল্পনা করবেন। এমনকী সব জেলার জেলাশাসকদের বৈঠকে ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বৈঠকের পরই পুরকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে কাজ করাবেন।
কেন হঠাৎ এমন নির্দেশিকা জারি? একদিকে উৎসবের মরসুমে মাথাচাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গি। তারা মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। আবার বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যে। অন্যদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সল্টলেকের একটি পুজো উদ্বোধনে করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর নাকে এসে পৌঁছয় ভ্যাটের গন্ধ। সেটা নিয়ে তিনি উষ্মাপ্রকাশ করেন। তখন পাশে দাঁড়িয়ে বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তারপরই জারি হয়েছে নির্দেশিকা।