সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে কেপমারির শিকার হলেন এক বৃদ্ধা। অভিনব কায়দায় ওই বৃদ্ধার কাছ থেকে তাঁর সোনার গয়না কেপমারি করে চম্পট দিল অভিযুক্ত।
অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসা করানোর সময় ওই বৃদ্ধার কাছ থেকে কায়দা করে তাঁর সোনার গয়না হাতিয়ে নেয় অভিযুক্ত এক যুবক। তারপর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে তরফ থেকে কোনওরকম সাহায্য করা হয়নি বলে অভিযোগ বৃদ্ধার। ঘটনা ঘিরে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোখের সমস্যার কারণে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন ৬৫ বছর বয়সী দিপালী বসাক। জানা গিয়েছে, দিপালী দেবী বেহালার কাজী পাড়ার বাসিন্দা। এদিন তিনি হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে যান। চিকিৎসক তাঁকে এক্স-রে করার পরামর্শ দেন।
দিপালীদেবীর অভিযোগ, চিকিৎসকের কাছে দেখানোর পর যখন তিনি হাসপাতালে এক্স-রে করানোর জন্য এক্স-রে ঘরের দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময় হঠাৎই এক যুবক সাহায্য করার আছিলায় তাঁর কাছে এসে বলে যে, এক্স-রে করতে গেলে তাঁকে তাঁর কানের দুল খুলে ফেলতে হবে। ও তাঁর ব্যাগ বাইরে রাখতে হবে। এর কারণ জানতে চাইলে, ওই অভিযুক্ত যুবক বৃদ্ধাকে জানায় যে, কানের দুল পরা থাকলে এক্স-রের ছবি ভালো উঠবে না। এরপর কানের দুল খুলে তাকে দিয়ে দিতে বলে ওই যুবক।
ওই যুবককে হাসপাতালের কর্মী ভেবে সরল বিশ্বাসে বৃদ্ধা তাঁর কাছে থাকা ব্যাগ ও নিজের গয়না খুলে ওই তার কাছে রাখতে দেন। তারপর তিনি এক্স-রে রুমে ঢুকে পড়েন। এক্স-রে করিয়ে বেরোনোর পর দিপালী দেবী দেখেন, বাইরে কোথাও ওই যুবক নেই। তিনি দীর্ঘক্ষণ ওই এক্স-রে রুমের বাইরে বসে থাকেন। তখনই তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পারেন।এরপর হাসপাতালের উদাসীনতার অভিযোগ তোলেন প্রতারিত ওই বৃদ্ধা।
বৃদ্ধার অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাঁকে কোনওভাবে সাহায্য করা হয়নি। এমনকী, হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও তা দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলেও অভিযোগ। এর পরে হাসপাতাল থেকে সাহায্য না পেয়ে তিনি পরিবারের লোককে বিষয়টি জানান। তারপর পর্ণশ্রী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।