বিবাহ বিচ্ছেদের পর একমাত্র কন্যার সঙ্গে দেখা করতে দিতেন না প্রাক্তন স্ত্রী। সেই মানসিক পীড়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক ব্যক্তি। অফিসের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল তাঁর রক্তাক্ত দেহ। শনিবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় বিধাননগরের সেক্টর ফাইভের অফিস পাড়ায়।
নিহতের নাম কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। সেক্টর ফাইভে একটি তথ্য-প্রযুক্তি দফতেরর নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে বিয়ে করেছিলেন কমশেলবাবু। ২০১৯ সালে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। অভিযোগ তার পর থেকে একমাত্র মেয়ের সঙ্গে তাঁদে দেখা করতে দেন না প্রাক্তন স্ত্রী। যার জেরে মানসিক পীড়ায় ভুগছিলেন তিনি।
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে দফতরে আসার পর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন কমলেশবাবু। বলছিলেন, ‘আমি বেঁচে থাকার যোগ্য না। আমি বাঁচতে চাই না। আমাকে মেরে ফেলো।’ এর কিছুক্ষণের মধ্যে অফিসের শৌচাগারে চলে যান তিনি। বেশ কিছুক্ষণ পর শৌচাগার থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন। সহকর্মীরা তাঁকে ধরতে গেলে ফের শৌচাগারে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ কাটলেও দরজা না খোলায় সহকর্মীরা ভিতরে ঢুকে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে কমলেশবাবুর নিথর দেহ। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা মনে হলেও খুনের তত্ত্ব খারিজ করে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে অফিসের সিসিটিভি ফু়টেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কমলেশবাবুর সহকর্মী ও আত্মীয়দের।