৫ দিন SSKM হাসপাতালে শিশুদের জন্য সংক্ষিত শয্যা দখল করে রাখার পর কেবিনে ফিরলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গরবারই তাঁর আর ICCUতে থাকার দরকার নেই বলে রিপোর্ট দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। বুধবার তাঁকে হৃদরোগ বিভাগের কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তার পরই কেবিনের সামনে বসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারা। নিয়োগ করা হয়েছে ইডি আধিকারিকদেরও।
গত ৮ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছিল ইডি। জোকা ESI হাসপাতালের গঠন করা মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ও অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে SSKM হাসপাতালে হাজির হন ইডির গোয়েন্দারা। কিন্তু এসে দেখেন, ৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে সুজয়কৃষ্ণকে কার্ডিওলজি বিভাগের ICUতে ভর্তি করা হয়েছে। সারা দিন চেষ্টা করেও কাকুকে SSKM থেকে বার করতে না পেরে ফিরে যান ইডির গোয়েন্দারা।
ওদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে কাকুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ফলে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে ICUতে ভর্তি করেন চিকিৎসকরা। ICCU-র ১৮ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু ওই বেড শিশুদের জন্য সংরক্ষিত। কেন শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বেডে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে ভর্তি করা হল এই নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে তখন ICCU-তে ভর্তি রোগীর আত্মীয়রা বেরিয়ে এসে জানান, বেডে বসে খবরের কাগজ পড়ছেন সুজয়কৃষ্ণ।
তার পর থেকে গত ৫ দিন ICCU-তেই ভর্তি ছিলেন কাকু। ওদিকে কাকুর সঙ্গে কারা দেখা করছেন তার ওপর নজরদারি করতে ICCUর বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ED.
৫ দিন পর অবশেষে ফের SSKMএর কেবিনে ফিরলেন কাকু। যেখানে তিনি অগাস্ট মাস থেকে ভর্তি রয়েছেন। কেবিনে তাঁর প্রতিবেশী দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। কাকুর কেবিনের বাইরে মোতায়েন রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ইডির আধিকারিকরা। এবার দেখার কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে নতুন করে কী তৎপরতা শুরু করে ED.