অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পাল। শুক্রবার গৌতমবাবুর আবেদনের শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত গৌতমবাবুকে গ্রেফতার করা যাবে না। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ।
গত ১৯ অক্টোবর OMR শিট নষ্ট সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, গৌতম পালকে আজই সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে হবে। সঙ্গে জেরা করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকেও। এমনকী দরকার হলে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবেন তদন্তকারীরা।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান গৌতমবাবু ও পার্থবাবু। গত সোমবার এই মামলায় তাঁদের কোনও রক্ষাকবচ দেয়নি আদালত। বরং সিবিআইয়ের কাছে হলফনামা তলব করেন বিচারপতিরা। শুক্রবারের শুনানিতে তাঁদের গ্রেফতারির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করল সুপ্রিম কোর্ট।
বলে রাখি, প্রাথমিকের অন্যান্য মামলা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে স্থানান্তরিত হলেও OMR শিট নষ্ট সংক্রান্ত মামলাটি এখনো রয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। গত ১৯ অক্টোবরের শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, এই মামলায় পর্ষদ ডিজিটাইজড কপি বলে যে তালিকা আদালতে পেশ করেছে তা আসলে ডিজিটাইজড কপিই নয়। কম্পিউটারে তৈরি ওই তালিকায় শুরুমাত্র প্রার্থীদের নাম, রোল নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বর রয়েছে। ওই তালিকায় যে কোনও সময় প্রাপ্ত নম্বর বদলে ফেলা সম্ভব। এমন একটি তালিকাকে পর্ষদ কেন গত ১ বছর ধরে ডিজিটাইজড কপি বলে দাবি করছিল তার জবাব দিতে হবে পর্ষদ সভাপতি ও ডেপুটি সেক্রেটারিকে। এর পরই সিবিআইকে তাঁদের জেরা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।