ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আদালতের নির্দেশে ভয় পেয়ে যাওয়া তৃণমূল কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ‘আদালতের রায় আসার পর ওনার কথা আর কেউ শুনবে না’।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ করছেন, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার রায় এলে সেকথা আর কেউ শুনবে না। আদালতের নির্দেশে ভয় পেয়ে যাওয়া কর্মীদের উজ্জীবিত করতে এসব বলছেন উনি’।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে দেশের সব থেকে বড় দুর্নীতি হয়েছে এরাজ্যে। সারদা কেলেঙ্কারি আর কয়লা কেলেঙ্কারি। কয়লার টাকা কার অ্যাকাউন্টে যেত তার কাগজ আমার কাছে রয়েছে।’
শনিবার তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভার্চুয়ার ভাষণে একাধিক ইস্যুকে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মমতা। অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে লেলিয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো ইডির নোটিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে রাজনৈতিকভাবে লড়ুক। ব্যক্তিগত ভাবে হ্যারাস করছে কেন। তেমন হলে ইডির দফতরে বস্তা বস্তা কাগজ পাঠাবো। আমরাও আদালতে যেতে পারি। সব কিছু ম্যানেজ করা যায় না।’