গতবছর কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সময় শাহের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন বাংলার ডিএ আন্দোলনকারীরা। রাজ্য সরকারকে সবরকম ভাবে চাপে রাখার জন্য প্রস্তুত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর আগে গতবছর দিল্লিতে গিয়েও ধরনা দিয়েছিলেন তারা। এই আবহে এবার ডিএ প্রতিবাদীদের মঞ্চে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ডিএ আন্দোলনকারীদের নিয়ে নাকি অমিত শাহ তাঁকে 'নির্দেশ' দিয়ে গিয়েছেন। আজ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'অমিত শাহ আমাকে বলে গিয়েছেন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ডাকলে যাতে আমি আসি। আমরা ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে আছি। এবার আশা করি সুপ্রিম কোর্ট বিবেচনা করবে। সাহস থাকলে এদের বরখাস্ত করে দেখাক মুখ্যমন্ত্রী।' (আরও পড়ুন: ফের মা হল নামিবিয়া থেকে আসা 'জ্বলা', কুনোয় জন্ম নিল ৩ চিতা শাবক)
আরও পড়ুন: হংকংকে হারিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বড় শেয়ার বাজার ভারত, আজও ঊর্ধ্বমুখে লাফ সেনসেক্সের
আজ ডিএ আন্দোলনকারীদের ধরনা মঞ্চে এসে শুভেন্দু বলেন, 'সরকারি কর্মীরা সচেতন। সংবেদনশীল। কিন্তু ২০১৬ সালের পর তাঁরা এই সরকারের স্বরূপ বুঝেছেন। বুঝেছেন যে তাঁদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। কর্মীরা দেখেছেন আবাস যোজনা থেকে শৌচালয়। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের টাকা লুঠ হয়েছে। এই সরকারি কর্মচারীরা দেখেছেন স্থায়ী ৬ লক্ষ পোস্ট অবলুপ্ত করছে সরকার। অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করছেন চার হাজার থেকে বারো হাজার।' শুভেন্দু এদিন আরও দাবি করেন, 'পিএসসি-র কর্মচারীরা আমায় তথ্য দেন। এমনকী বামপন্থী কর্মচারীরা আমায় জানিয়েছেন... পিএসসি অফিসকেও বাদ দেওয়া হয়নি। মিড ডে মিলের টাকায় কম্বল বিতরণ হয়েছে।' শুভেন্দু বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত। এই সকল সরকারি কর্মচারীদের তিনি তাঁর পক্ষে পাবেন না আগেই বুঝে গিয়েছেন। তাই এদের ডিএ আটকে আছে।'
আরও পড়ুন: প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরদিনই বিপত্তি অযোধ্যায়, রামভক্তদের ভিড়ের চাপে বন্ধ রামমন্দির
বিরোধী দলনেতা বলেন, 'এদের তিনি পোস্টাল ব্যালটে পাবেন না। তাই এদের ওপর দমন পীড়ন নীতি নেওয়া হয়েছে। এই অনশনকারীদের কিছু হলে বাংলায় আগুন জ্বলবে। ভাস্করবাবুকে বলব, নবান্ন অভিযান করুন। আমরা পাশে আছি। এরা প্রাণ আত্মাহুতি দিতে চায়। চাকরি যাওয়ার ভয় এরা করে না।' এদিকে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি আংশিক সফল। তাঁর কথায়, 'সরকার ঠেলায় পড়ে ৩ থেকে বাড়িয়ে বর্ধিত ডিএ-র হার ৪ শতাংশ করেছে।' এই আবহে সরকারকে আরও চাপে ফেলতে শুভেন্দুর নিদান, জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সর্বাত্মক ধর্মঘট করুন। উল্লেখ্য, ডিএ-র দাবি না মেটানো হলে আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।