আকাশে-বাতাসে লোকসভা নির্বাচনের গন্ধ ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। তারই মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে বাংলার শাসকশিবিরের দুই নেতা। তাঁদের মধ্যে একজন আবার তৃণমূলের মুখপাত্র এবং দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এর মধ্যে মুখপত্রের পদে তাঁর ইস্তফা গৃহীত হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে এখনও ইস্তফা গৃহীত হয়নি। তিনিও সেটা ছেড়ে দিতে চাইছেন। সেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দল ছাড়ছেন না তিনি। অন্যদিকে বিধায়ক তাপস রায়কে কেন্দ্র করে দল ছাড়ার জল্পনা ছড়িয়ে। সেই জল্পনা নিয়ে কী বললেন তিনি?
সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে ইডি গিয়েছে। এই পিছনে 'ষড়যন্ত্র' আছে বলেই অভিযোগ করেছিলেন তাপস রায়। সেই ষড়যন্ত্রের পিছনে বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিত করেছিলেন তাপস রায়। তিনি যাতে উত্তর কলকাতায় লোকসভা ভোটে প্রার্থী না হতে পারেন, সেই জন্য এই ব্যবস্থা বলে অভিযোগ ছিল তাঁর।
আরও পড়ুন। ‘উনি তো নিজ মুখে বলেননি,’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিজেপি যোগ প্রসঙ্গে বিকাশ
শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তাপস রায় অভিযোগ করেন, 'উত্তর কলকাতায় প্রার্থী হিসাবে আমার নাম উঠে এসেছে। আমি যাতে টিকিট না পাই তাই আমার বাড়িতে ইডি ঢোকাচ্ছে। রাজ্যসভা,লোকসভা রাজ্য মন্ত্রিসভা অন্ত ৪০ জন আমাকে এই কথা বলেছেন।'
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘১২ জানুয়ারি যখন আমার বাড়িতে ইডি- তল্লাশি চলছে, সেই সময় উত্তর কলকাতায় স্বামীজির বাড়িতে কিছু তৃণমূল নেতানেত্রী উল্লাস করছিলেন। তবে অনেক নেতার বাড়িতে ইডি প্রবেশের নিন্দা করেছেন। ’
আরও পড়ুন। 'আমার সঙ্গে বারবার কেন এরকম ঘটছে?' ‘বেঁচে গেলেও’ তদন্তের দাবি সুকান্তের
এই সাংবাদিক বৈঠকের পর জল্পনা ছড়ায় তিনি তৃণমূল ছাড়তে চলেছেন। তিনি সেই প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'কে কী বলছে, আমি জানি না। আমার দল পরিবর্তন অথবা অন্য কোনও কিছু নিয়েই আমি কিছু বলব না। যদি কখনও কিছু করি, সেটা সকলকে জানিয়েই করব। সাংবাদিক সম্মেলন করে জানাব। আমার কোনও কিছু লুকোনোর নেই প্রয়োজন নেই।'
১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড। এই সভার প্রস্তুতিতেও থাকতে চাইছেন না তাপর রায়। তাঁর ইচ্ছের কথা নেতৃত্বকে জানিয়েছেনও । এসব মিলিয়েই তাঁর দল ছাড়ার জল্পনা বাড়ছিল।