২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা কোর্সের মেয়াদ। তার পর বছর ঘুরতে চললেও ডিএলএড কোর্সের শংসাপত্র না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা। এই কোর্স করা না থাকলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির জন্য যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন না প্রার্থীরা। অভিযোগ, ১ লক্ষ টাকা খরচ করেও এখনো হাতে আসেনি সেই সার্টিফিকেট।
২০১৯ সালের ডিএলএড কোর্সের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। মামলা দায়ের করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলাকারীদের অভিযোগ, ২০২১ সালে কোর্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু না হয়েছে কোনও পরীক্ষা, না তারা পেয়েছেন কোনও সার্টিফিকেট। ওদিকে কলেজগুলি ১ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে নিয়েছে। তাদের কাছে কোর্স কবে শেষ হবে তা জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দরজা দেখাচ্ছে। আর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এব্যাপারে নিশ্চুপ।
এক চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছেন, প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু ডিএলএড সম্পূর্ণ না হওয়ায় চাকরি পাচ্ছি না। ওদিকে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্যজুড়ে প্রায় ৪,০০০ ডিএলএড শিক্ষার্থী এই বঞ্চনার শিকার। আদালতের কাছে অনুরোধ দ্রুত আমাদের সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
বলে রাখি, গ্রীস্মাবকাশের পর কলকাতা হাইকোর্টে বদলে গিয়েছে বিচারপতিদের বিচার্য বিষয়। সোমবার আদালত খোলার পর থেকে প্রাথমিক ও মাদ্রাসা সংক্রান্ত মামলার বিচার করছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরই তাঁর এজলাসে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত ভুরি ভুরি মামলা দায়ের হচ্ছে। আবেদনকারীদের আশা, SSC চাকরিপ্রার্থীদের মতো সুবিচার পাবেন তাঁরাও।