রাজ্যজুড়ে এখন ডেঙ্গির দাপট চলছে। তাই কারও জ্বর হলেই ডেঙ্গির আতঙ্ক মনে বাসা বাঁধছে। আর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে তো কথাই নেই। কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা রয়েছে। আবার কেউ হৃদরোগ সমস্যায় ভুগছেন। এমনই খবর এবার সামনে এল। রাজ্যের শাসক–বিরোধী তিন বিধায়ক এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছেন ইএম বাইপাসের দুটি হাসপাতালে। এই তিন বিধায়কের মধ্যে রয়েছেন দু’জন তৃণমূল কংগ্রেস এবং একজন বিজেপি বিধায়ক। এই খবর সামনে আসতেই জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? রাজ্যে এখন ডেঙ্গি চোখ রাঙাচ্ছে। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। আর তাতে রাজ্যবাসী এখন আতঙ্কিত। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কলকাতা পুরসভা হেল্পলাইন নম্বর দেওয়ার কথা ভাবছে। কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। এই আবহে ডেঙ্গি ধরা পড়েছে রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তাপসবাবু। এবার ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তিনি ভর্তি হয়েছেন।
আর কার কী হয়েছে? এদিকে ডেঙ্গি ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এমনকী নবান্নে এই ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। এটা এখন বাংলায় একটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। তার মধ্যেই বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অশোক দেবও ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। প্রথমে সবাই তাঁর ডেঙ্গি হয়েছে বলেই মনে করেছিলেন। পরে জানা যায়, বার্ধক্যজনিত অসুখে তিনি কয়েকদিন ধরেই ভুগছেন। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের গলব্লাডারে স্টোনও ধরা পড়েছে বলে খবর। আগামী দু’দিনের মধ্যেই তাঁর অস্ত্রপচার করা হবে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বর মাসে হচ্ছে না তফসিলি বিধায়কের শপথ, নতুন ভাবনা শুরু রাজভবনের
আর কী জানা যাচ্ছে? এই দুই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের অসুস্থতার খবরেই বিষয়টি সমাপ্ত হচ্ছে না। বিরোধী দল বিজেপির বিধায়কও এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসুস্থ চাকদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। যা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে বিজেপির। কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি বিধায়ক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিজেপি বিধায়কের বুকে বসেছে স্টেন। তাই বুধবার এই বিধায়ককে দেখতে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে এখন আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।