প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সংহতি প্রদর্শনের নামে রবিবার রাতে দীপ জ্বালিয়ে বাজি পুড়িয়ে কি মহামারী উদযাপন করল দেশ, প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের শাসকদলের নেতৃবৃন্দ। লকডাউনে সামমমাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়েও তাঁরা সমালোচনায় সরব হয়েছেন।
গতকাল রাত ৯টা থেকে সংহতি প্রদর্শনের নামে রাজ্যজুড়ে লকডাউন অমান্য করে যে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছিল, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় রাত ৯টা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় নেমে শব্দবাজি পোড়ানোর ধুম চলে। ঘটনায় ৯৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিরক্ত অভিষেক রাতে টুইট করেন, ‘বাজি, ফ্যান্সি প্রদীপ আর ফানুস জ্বালিয়ে বিশ্বে আমরাই প্রথম দেশ যারা Covid-19 উদযাপন করছি। আরও চিন্তা হচ্ছে যে কত জন লকডাউন বিধি মেনে এই কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। কী শেখানো হল, ব্যক্তিগত বিচ্ছিন্নতা না কি ব্যক্তিগত ধ্বংস?’
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর আলো নিভিয়ে দীপ জ্বালিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের আহ্বান সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘কেউ যদি যোগ দিতে চান, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছে। আমার তাতে কী বলার থাকতে পারে?’
রবিবার রাত ৮টায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন টুইট করেন, ‘Cpvid-19 চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে গেলে আমাদের ওই ৯টি জরুরি পদক্ষেপ করা দরকার।’ টুইটের সঙ্গে জ্বলন্ত মোমবাতির ছবিও পোস্ট করেন ডেরেক।
এ দিকে, রবিবার রাতে প্রদীপ ও মোমবাতির আলোয় ঝলমল করেছে রাজভবন। রাত ৯টায় প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সংহতি প্রদর্শনে শামিল হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনখড়। টুইটারে সেই কথা লেখেন রাজ্যপাল স্বয়ং।
অন্য দিকে, শনিবার করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়েসি এক রেলকর্মী। তাঁকে নিয়ে উত্তরবঙ্গে সংক্রমণে মারা গেলেন ২ জন, রাজ্যে মোট ৮ জন।
শনিবার রাতে রাজ্যজুড়ে মোট ৬৮ জন সংক্রামিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন।