বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি কুর্সি দখল করল বিজেপি। আর তার প্রভাব কতটা পড়বে দেশের নির্বাচনে সেটা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই ফলাফলের জেরে কি ইন্ডিয়া জোট ধাক্কা খাবে? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে। পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করার জন্য। এই আবহে বিজেপির সাফল্যের চেয়ে কংগ্রেসের ব্যর্থতাকে তুলে ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
এই ফলাফলের পর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ইন্ডিয়া ব্লকের কতটা একতা থাকবে সেটা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে সবাই এককাট্টা হতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে তিন রাজ্যে বিজেপির জয়ের প্রবণতা সামনে আসতেই কংগ্রেসকে নিশানা করল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির জয় নয়। এটা কংগ্রেসের ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কর্নাটকে জয়ের পর যে উল্লসিত প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল অধীররঞ্জন চৌধুরীর মধ্যে আজ সেসব দেখা যাচ্ছে না। বরং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী দলকেই আক্রমণ করে বসেছেন।
ঠিক কী লিখেছেন কুণাল ঘোষ? বিজেপি এই জয়টা তাদের সাফল্য হিসাবে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস। আর এটা কংগ্রেসের ব্যর্থতা হিসাবেই তুলে ধরেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি একটি টুইট করেছেন। রবিবাসরীয় দ্বিপ্রহরে এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘তিন রাজ্যে এটা যত না বিজেপির সাফল্য, তার চেয়ে বেশি কংগ্রেসের ব্যর্থতা। ভিন রাজ্যে জিততেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কিমগুলি নকল করেছে অন্য দল। তবে লোকসভা ভোটে এর প্রভাব পড়বে না। মিলিত ইন্ডিয়া জোটের প্রভাব থাকবে। আর দেশে বিজেপিকে হারানোর লড়াইতে নেতৃত্ব দেওয়ার দল তৃণমূল।’ সুতরাং জোটে থাকলেও কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘এই জয় আমাদের কর্মীদের আরও উৎসাহিত করবে’, উল্লসিত প্রতিক্রিয়া সুকান্তর
ঠিক কী বলেছেন কুণাল? কংগ্রেসের ভূমিকা শুধু নয়, দুর্বলতাও তুলে ধরা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এই জয়–পরাজয়ের ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘তিনটি রাজ্যে বিজেপি কংগ্রেসকে পরাজিত করে সরকার গড়ার দিকে যাচ্ছে। একটি রাজ্যে যেখানে অন্য একটি দল ক্ষমতায় ছিল তাদের হারিয়ে কংগ্রেসের জেতার মতো প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে বিজেপির জয় বিজেপির সাফল্য নয়, এটা কংগ্রেসের ব্যর্থতা। কংগ্রেসের যে দুর্বলতা, যে সাংগঠনিক ব্যর্থতার কথা আমরা বারবার বলছিলাম, এটা কংগ্রেসের সেই সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং ব্যর্থতা। বিজেপির জয় নয়, এটা কংগ্রেসের ব্যর্থতা।’