বিদেশ সফরের আগে মন্ত্রিসভা রদবদল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার এই ঘটনার পর কারও দায়িত্ব বেড়েছে। আবার কারও দায়িত্ব কমেছে। তা নিয়ে নবান্নের করিডরে ফিসফাস আলোচনাও হয়েছে। কারণ পর্যটন দফতর থেকে সরিয়ে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে অচিরাচরিত শক্তি দফতর দেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি দফতর আগেই বাবুলের হাতে ছিল। এখনও আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন বাবুল। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে এসে পর্যটন দফতর পেয়েছিলেন তিনি। এখন কেমন লাগছে তাঁর? উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে নতুন দায়িত্ব পেয়ে টুইট করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। আর সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাবুল। টুইটে তৃণমূল কংগ্রেসের এই গায়ক–মন্ত্রী লেখেন, ‘এমন একটি দল, যেখানে আপনি দলনেত্রীকে মনের কথা জানাতে পারেন। সেখানে নতুন কোনও দফতরে কাজ করার শক্তি স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে। ভবিষ্যতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে এমন দফতরের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী হিসেবে আমি কাজ করেছি। সেখানের অভিজ্ঞতাও আমি এখানে কাজে লাগাতে পারব। শান্তি ও আত্মসম্মানের সঙ্গে কাজ করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দিদি ও অভিষেককে ধন্যবাদ।’
অন্যদিকে নবান্নে অনেক কর্তাই আড়ালে বলছেন, বাবুল সুপ্রিয়র নাকি মন খারাপ। কিন্তু টুইট সে সাক্ষ্য বহন করছে না। এই দফতর রদবদলের পর বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ কোনও খোঁচা দেন কিনা সেটা দেখার বিষয়। তবে দফতর বদল নিয়ে আজ বাবুল সুপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘মন খারাপ হওয়ার কোনও কারণই নেই। বরং আমি যা বলার মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমাকে যে দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার একটা ভবিষ্যৎ আছে। ভাল কাজ করা যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।’ সূত্রের খবর, বাবুলকে এখন দফতর পাল্টে দিলেও আগামীদিনে বড় পদ অপেক্ষা করছে বালিগঞ্জের বিধায়কের জন্য।
আরও পড়ুন: চারজন বাঙালি বিজ্ঞানী পেলেন ভাটনগর পুরষ্কার, টুইট করে শুভেচ্ছা মমতার
আর কী জানা যাচ্ছে? সম্প্রতি বিধানসভার করিডরে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে তাঁর তুমুল তর্কাতর্কি হয়েছিল। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বাবুল ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন। বাবুল সুপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীকে শান্তিতে কাজ করতে চান বলে জানান। আবার গায়ক সত্ত্বাও রাখতে চান। এমনকী দফতর বদল হলেও তাঁর কোনও সমস্যা নেই। এমনটাই জানান বাবুল বলে সূত্রের খবর। এখন পর্যটন দফতর গেল ইন্দ্রনীল সেনের হাতে। সুতরাং একটা খচখচে ব্যাপার যেন থেকেই গেল। বাবুল স্বীকার না করলেও পরিস্থিতি যেন সেই সাক্ষাই বহন করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।