হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কানাডা পুলিশ। সেই তিনজনের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। কানাডার ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিমের তরফে দাবি করা হয়েছে, তিনজনই ভারতের নাগরিক। এডমন্টন থেকে গ্রেফতার করার পরে করণ ব্রার (২২), কমলপ্রীত সিং (২২) এবং করণপ্রীত সিংয়ের (২৮) বিরুদ্ধে খুন এবং খুনের ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে ওই তিনজনের গ্রেফতারিতেই তদন্ত শেষ হয়ে যায়নি। বরং ওই খলিস্তানি জঙ্গির হত্যাকাণ্ডে 'অন্যান্যদেরও' ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেছে কানাডা। তাঁদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে বলে দাবি করেছে ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিম। সেইসঙ্গে ওই ঘটনায় ভারতের কোনও যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি করেছে কানাডার প্রশাসন। পুরো ঘটনা নিয়ে আপাতত ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
কানাডার পুলিশ আর কী বলছে?
পুলিশের দাবি, গত বছর ১৮ জুন ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে একটি গুরুদোয়ারার বাইরে খলিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার ঘটনায় যে হিট স্কোয়াডকে ভাড়া করেছিল ভারত সরকার, করণরা সেই দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে করছেন তদন্তকারীরা। বিষয়টি নিয়ে ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্য অফিসার-ইন-চার্জ মনদীপ মুকার বলেন, 'এখানেই তদন্ত শেষ হচ্ছে না। আমি জানি যে এই ঘটনায় অন্যান্যরা যুক্ত আছে এবং হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে বদ্ধপরিকর আমরা।'
তবে কী ধরনের তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, তা নিয়ে পুলিশের তরফে মুখ খোলা হয়নি। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার ডেভিড টেবুল দাবি করেছেন যে পুলিশ কী ধরনের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে, সেটা বলা যাবে না। আর খলিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, তাও বলা যাবে না বলে দাবি করেছেন রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার। তিনি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এখনও পুরোটা সামনে আসেনি। আলাদা-আলাদা তদন্ত চলছে। ঘটনায় ভারত সরকারের যোগ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার।
ভারত কিছু বলেছে?
শুক্রবার কানাডার প্রশাসনের তরফে তিনজনকে যে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে আপাতত ভারত সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে অতীতে একাধিকবার নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ভারতের কোনও হাত নেই। বরং রাজনৈতিক স্বার্থে জাস্টিন ট্রুডোরা জঙ্গিদের তোষামোদ করছে বলে দাবি করেছে ভারত।