শুক্রবার তাঁর নাম দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায়। সুতরাং তিনি এখন আর পদে থাকতে পারবেন না। আদর্শ আচরণবিধির মধ্যে তিনি পড়ে যাবেন। তাই আজ, শনিবার কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ফিরহাদ হাকিম। এমনকী নগরোন্নয়ন দফতরে গিয়েও পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। একইসঙ্গে পদত্যাগ করলেন প্রশাসকমণ্ডলীর আরও ১১ সদস্য।
এই পদত্যাগ করা ১২ জনই রাজ্য সরকার মনোনীত প্রশাসক ছিলেন। এমনকী গত পুরসভার নির্বাচনে প্রত্যেকেই জয়ী সদস্য। এবার আবার তাঁরা টিকিট পেয়েছেন। তাই প্রত্যেককেই মনোনয়ন জমা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে পদে থাকা আর যাবে না। তাই প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তাঁরা। এবার জয়ী হলে আবার পদে ফিরবেন।
কারা পদত্যাগপত্র জমা দিলেন? আজ ফিরহাদ হাকিম–সহ অতীন ঘোষ. দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, তারক সিং, রামপেয়ারি রাম, ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়, সামসুদ্দিনজামান আনসারি, মনজার ইকবাল, আমিরুদ্দিন ববিরাও ইস্তফাপত্র জমা করেছেন। চারজন বিধায়ক কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে টিকিট পেয়েছেন। তাঁরা হলেন—ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ এবং রত্না চট্টোপাধ্যায়। আর একজন সাংসদ মালা রায়ও টিকিট পেয়েছেন।
এবার বাদ পড়েছেন অন্তত ৩৯ জন। তাঁদের সংগঠনের কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবারের প্রার্থী তালিকায় একাধিক চমক রয়েছে। কিন্তু মেয়র পদপ্রার্থী হিসাবে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। এর পিছনেও বড় চমক রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যা জানেন শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর।