কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির পর আজ, বৃহস্পতিবার ‘রাজভবন চলো’ অভিযান শুরু হয়েছে। মধ্য কলকাতা থেকে রাজভবন হেঁটে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সংঘাত তৈরি হয়েছে দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের। আর তাতেই তেতে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। শহরের রাজপথে শুধু কালো মাথার ভিড়। মিছিলের শুরু দেখা গেলেও শেষ কোথায় তা দেখা যাচ্ছে না। গোটা মিছিলে অভিষেকের বক্তব্যের রেকর্ডিং শোনা যাচ্ছে। যা নয়াদিল্লির সভা এবং কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি বলেছিলেন।
শহরের রাজপথে মিশেছে তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ মাথার ভিড়। সাধারণ মানুষ থেকে শীর্ষনেতারা একসঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে রাজভবনের গেটে পৌঁছচ্ছেন। পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলের তলা দিয়ে যখন মিছিলটি যাচ্ছিল তখন জনসমুদ্র ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছিল না। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক্সাইড থেকে জওহরলাল নেহরু রোড হয়ে রাজভবনের উদ্দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেন। আজই উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শিলিগুড়ি রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখান থেকেই নয়াদিল্লিতে যেতে পারেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের উত্তরবঙ্গে দেখা করার সময় দেন। অথচ রাজভবনে সময় দিচ্ছেন না বলেই অভিযোগ।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীদের পোস্টারে ‘বাংলার প্রতি বঞ্চনা’ প্রসঙ্গ উঠে আসে। যে দাবি নিয়ে ‘মিশন দিল্লি’ অভিযান করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই দাবিগুলিই আজ উঠে আসে মিছিলে। সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে রাজভবনের উত্তর গেটে হাজির মিছিলটি। সেখানে একটি মঞ্চ করা আছে। একের পর এক নেতা ও নেত্রীরা বক্তব্য রাখছেন। বেলা আড়াইটে থেকে জমায়েত শুরু হয় রবীন্দ্র সদনে। আর সেখান থেকে বেলা ৩টে নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা মিছিল করে এগোতে থাকেন রাজভবনের দিকে।
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষকরা ক্লাস না নিয়ে কেমন করে মিছিলে অংশ নেবেন?’ প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট
অন্যদিকে জবকার্ড হোল্ডার থেকে শুরু করে তৃণমূলকর্মীরা মঞ্চে এসে ভিড় করেছেন। সেখানে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোন বার্তা দেন তা শুনতে আগ্রহী তাঁরা। আর শুক্রবারও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যে ফিরবেন কি না সেটা স্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছে না। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজভবনের পক্ষ থেকে তাঁদের দেখা করার জন্য সময় দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা রাজভবনের বাইরেই অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। সুতরাং বোসের দরবারে ফোঁস করার কাজ চলবে। নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।