বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > অর্পিতা দলের কেউ না, দোষ প্রমাণিত হলে তবেই পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা,জানাল তৃণমূল

অর্পিতা দলের কেউ না, দোষ প্রমাণিত হলে তবেই পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা,জানাল তৃণমূল

শনিবার বিকেলে তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠক।

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এক মহিলার ফ্ল্যাট থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়ছে এই টাকার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। যার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে তিনি তৃণমূলের কেউ নন।

বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল ও সরকার। তবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তৃণমূলের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে একথা জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। সঙ্গে এদিন বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করেন দলের নেতারা।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর দলের অবস্থান ঠিক করতে শনিবার সন্ধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেতারা। এর পর দলের নবনির্মিত সদর দফতে সাংবাদিক বৈঠক করেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, কুণাল ঘোষ ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে পার্থর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দলের দূরত্ব তৈরির মরিয়া চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতারা।

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এক মহিলার ফ্ল্যাট থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়ছে এই টাকার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। যার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে তিনি তৃণমূলের কেউ নন।

যদি কোনও নাম এসে থাকে তাঁদের আইনজীবীরা এর উত্তর দেবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের এর কোনও সম্পর্ক নেই’।

এর পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে কুণাল বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস আইন ও আদালতের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখে। আদালতে বিষয়টি গিয়েছে। এর আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি সিবিআই ইডির তদন্ত দীর্ঘমেয়াদী হয়। এই টাকার উৎস কী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত শেষ করে আদালতকে জানাতে হবে’।

সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘যেখানে নোটবন্দি চলছিল সেখানে এত বেআইনি টাকা এল কী করে সেটা তদন্ত করে দেখা দরকার। বিচারে যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো সত্যি হলে তৃণমূল কংগ্রেস দলগত ভাবে ও তৃণমূল সরকার যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে’।

এর পরই বিরোধীদের উদ্দেশে আক্রমণ শানান কুণাল। বলেন, ‘সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসের কোনও কথা বলা সাজে না। ভুরিভুরি অভিযোগ এদের বিরুদ্ধে রয়েছে। তৃণমূলের সমস্ত কর্মী-সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের বলছি, তৃণমূল অটুট থাকবে। বিজেপি চক্রান্তের রাজনীতি চালাচ্ছে। সিপিএম ও কংগ্রেস তাদের হয়ে প্রচার করছে’।

ফিরহাদ বলেন, ‘২ মাস আগে কোর্ট তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে। যদি এই ২ মাসের মধ্যে পার্থদা ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে যেত তাহলে তদন্ত হত না। তৃণমূলে ছিল তাই তার বিরুদ্ধে কুৎসা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি তৃণমূলে ছিলাম বলে আমাকে জেলে যেতে হয়েছিল, আর যে বিজেপিতে ঢুকে গেল তাকে তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়নি। বিজেপিতে গেলে সাধু, তৃণমূলে থাকলে চোর। এজেন্সিগুলোকে বিজেপি কাজে লাগাচ্ছে’।

অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘২১ জুলাইয়ের ঐতিহাসিক সাফল্যকে বিজেপি ভয় পেয়েছে। কারও সঙ্গে কারও ছবি দেখিয়ে জুড়ে দেওয়া এটা ঠিক হচ্ছে না’। এর পরই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নীরব মোদীর ছবি তুলে ধরেন তৃণমূল নেতারা।

 

বন্ধ করুন