সাদামাটা পার্টি অফিস থেকেই সংগঠন চালিয়ে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে উৎখাত করেছিলেন তিনি। তারপর আরও দুটি সরকার তৈরি হয়েছে তাঁর হাত ধরেই। তাই মা–মাটি–মানুষের কাছে থাকতে বিলাস চান না তৃণমূল সুপ্রিমো। এই কারণে বাইপাসের ধারে যে বিলাসবহুল অত্যাধুনিক তৃণমূল ভবন তৈরি হচ্ছিল তাতে মত নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এখন দক্ষিণ কলকাতায় একটি নতুন বাড়ি ভাড়া নিয়ে কাজ চালাতে চান তিনি।
উত্তর পঞ্চান্ন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের যে অফিসবাড়ি ছিল তা নতুন করে সংস্কার হচ্ছে। অত্যাধুনিক ব্যবস্থা–সহ এই ভবন তৈরি হওয়ার কথা। কিন্তু এই অত্যাধুনিক বিলাসবহুল পার্টি অফিস চান না তিনি। কারণ সেখানে সাধারণ মানুষ আসতে সংকোচবোধ করবেন বলে তিনি মনে করেন। তাই শনিবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওইরকম বাড়ি চান না তিনি।
এখন তিনি ফের সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। দলের শীর্ষ পদগুলির অবলুপ্তি ঘটিয়েছেন। এখন কারও কোনও পদ নেই। তিনিই এখন দলের ‘আর্থিক, সাংগঠনিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক’ দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই তৃণমূল ভবন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে শীর্ষ নেতাদের বলেছেন, ‘আমাদের দল মা–মাটি–মানুষের দল। এটা আমাদের স্লোগান। সরকারের মনোভাবও তাই। আমাদের দলের অফিসে বিলাসবহুল থাকতে পারে না। তাই আমি ওখানে বসতে পারি না।’
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে তৈরি হয়েছিল পুরনো তৃণমূল ভবন। কিন্তু তিনতলা বাড়িতে জায়গা যথেষ্ট নয়। তাই নতুন করে আধুনিক তৃণমূল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় দফতর করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী নতুন এই বাড়ির জন্য দলের সাংসদ ও বিধায়কদের কাছে ১ লক্ষ টাকা করে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমো রাজি না হওয়ায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দক্ষিণ কলকাতায় একটি দশ হাজার স্কোয়ার ফুটের বাড়ি খুঁজতে বলেন। সেটি ভাড়া নেওয়া হবে।