ফোন করে অর্ডার দিলেই বাড়িতে জ্যান্ত কচ্ছপ নিয়ে হাজির যেত সরবরাহকারীর দলের মাথা। রাজারহাট, নিউটাউন এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় কচ্ছপ মাংসপ্রেমীদের নিয়মিত কচ্ছপ সরবারহ করত সে। জমে উঠেছিলে ব্যবসা। অবশেষ বন দফতরের তৎপরতায় ধরা পড়ল সেই কচ্ছপ সরবরাহকারী।
ধৃতের কাছ থেকে দু’টি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। যার একেকটির ওজন পাঁচ কেজি। বন দফতর সূত্রে খবর, মাংসের জন্য জ্যান্ত কচ্ছপ সরবরাহ ব্যবসায় রীতিমতো একটি দল কাজ করছে। দলের মাথা শঙ্কর মণ্ডলকে আটক করেছে বন দফতর।
(পড়তে পারেন। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ, বাংলাদেশে শুরু ইলিশ ধরা, রাজ্যে ঢুকবে কবে?)
বেশ কিছুদিন ধরে খবর ছিল রাজারহাট-নিউটাউন এলাকায় কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে খবর নিয়ে বন দফতর বিক্রেতাদের ধরা জন্য ফাঁদ পাতে। দফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের এক কর্তা ক্রেতা সেজে অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফোন করে কচ্ছপের ভাল দামও দিতে চান। অভিযুক্ত বাইকে চেপে কচ্ছপ সরবরাহ করতে এলেই হাতানাতে তাকে ধরে ফেলে বনদফতরের ওই আধিকারিক।
ধৃত শঙ্কর মণ্ডলের কাছ থেকে একটি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক ব্যক্তির খোঁজ পায় বন দফতরের আধিকারিকরা । ওই ব্যক্তির কাছ থেকেও একটি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে।
(পড়তে পারেন। বর্ধমানে এক গাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ ৩৫ লাখ টাকা, মিলল চালকল যোগের সূত্র!)
অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ বনদফতর জানতে পেরেছে, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকায় কচ্ছপ বিক্রির একটি বড়সড় চক্র চলছে।
আইন অনুযায়ী কচ্ছপ ধরা, সরবরাহ বা বিক্রি করা দণ্ডমূলক অপরাধ। এর জন্য অভিযুক্তের জেল ও জরিমানা হতে পারে। কিন্তু আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কচ্ছপ বিক্রির চলছিল রাজারহাটে। অবশেষ বনদফতরের হাতে ধরা পড়েছে সেই কচ্ছপ বিক্রি চক্রের মাথা।