একুশের বিধানসভা ভোটে ব্যাপকভাবে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। গোয়া এবং ত্রিপুরাতে তৃণমূল প্রভাব বিস্তার করছে। এখন তৃণমূলের লক্ষ্য জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দল হয়ে ওঠা। সেই লক্ষ্যে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে চাইছে তৃণমূল। দলের সাংগঠনিক নির্বাচন হতে চলেছে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। একথা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এই নির্বাচন হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে।
জানা যাচ্ছে, সংগঠনকে মজবুত করার জন্য তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে তৃণমূলে রয়েছে ২০ জনের ওয়ার্কিং কমিটি। লক্ষ্য যেহেতু জাতীয় রাজনীতি তাই সেক্ষেত্রে ওয়ার্কিং কমিটিতে স্থান পেতে পারেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। এছাড়াও হরিয়ানার অশোক তানওয়ারকে ওয়ার্কিং কমিটিতে রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, সাংগঠনিক নির্বাচনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই আমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই তালিকায় যেমন থাকছেন বিজেপির টিকিটে জেতা বিধায়ক মুকুল রায়, তেমনি তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তাঁর পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারী আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন। আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বেশকিছু বিধায়ক এই নির্বাচনে ডাক পাননি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, যে ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে। ত্রিপুরায় গত পুরসভা ভোটে তৃণমূল জিততে না পারলেও ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। আবার গোয়া,মেঘালয় এবং হরিয়ানার মতো জায়গায় তৃণমূল প্রভাব বিস্তার করেছে। এখন তৃণমূলের লক্ষ্য জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করা। সে কারণেই সংগঠনকে তৃণমূল আরও মজবুত করতে চাইছে বলে সূত্রের খবর।