গঙ্গাসাগর মেলায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় দুই পুণ্যার্থীকে জরুরি ভিত্তিতে নিয়ে আসা হল কলকাতায়। হেলিকপ্টারের সাহায্যে অসুস্থ পুণ্যার্থীদের কলকাতায় আনা হয়। অসুস্থদের নাম হল সুমিত্রা দেবী এবং স্বপ্না মুখোপাধ্যায়। হেলিকপ্টারের সাহায্যে তাদের উড়িয়ে আনা হয় কলকাতার এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে। এরমধ্যে সুমিত্রা বিহারের বাসিন্দা এবং স্বপ্না মুখোপাধ্যায় দুর্গাপুরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ‘গুজবের জেরে’ পুরুলিয়ায় ৩ সাধুকে ‘গণপিটুনি’, ভিডিয়ো দিয়ে মমতাকে নিশানা BJP-র
জানা গিয়েছে, সুমিত্রা দেবী বুধবার সকালে গঙ্গাসাগরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর স্ট্রোক হওয়ার কারণে প্রথমে তাঁকে গঙ্গাসাগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা সরঞ্জাম না থাকায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্যে থাকে উড়িয়ে কলকাতায় আনা হয়। এরপর শুক্রবার বিকেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বপ্না মুখোপাধ্যায়। তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকেও চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে কলকাতায় আনা হয়। দু'জনেই বর্তমানে এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ-লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনও পুণ্যার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দেওয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে গঙ্গাসাগরে। অ্যাম্বুলেন্স ছাড়াও সেখানে রয়েছে চারটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া একশোর বেশি অ্যাম্বুলেন্স এবং হাসপাতালে অতিরিক্ত বেড রাখা হয়েছে গঙ্গাসাগরে। উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবং লাগাতার জলোচ্ছ্বাস ও ভাঙনের ফলে সমুদ্র ক্রমেই কপিল মুনির মন্দিরের দিকে এগিয়ে আসছে। তার ফলে সমুদ্রতট ছোট হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মেলার শুরুতেই ২ নম্বর স্নানঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ১ থেকে ৫ নম্বর পর্যন্ত বাকি স্নানঘাট খোলা রয়েছে।
সমুদ্রতটে জায়গা কমে গিয়েছে। তাতে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছে। তার মধ্যে অমাবস্যায় সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যায় বৃহস্পতিবার। সেক্ষেত্রে জোয়ারের সময় পুণ্যার্থীদের সমুদ্র স্নান না করার জন্য সতর্ক করা হয়। অন্যদিকে, ভাঙন আটকানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। এছাড়াও গঙ্গাসাগর পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়ন করার পাশাপাশি সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মাইকে লাগাতার প্রচার করছেন। কোনও পুণ্যার্থী যাতে গভীর সমুদ্রে না চলে যান সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ জলপথে স্পিড বোট ও হোভাক্রাফ্টে টহল দিচ্ছে।