যাদবপুরে প্রথমবর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। কলকাতা, রবীন্দ্রভারতী প্রেসিডেন্সি-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাস এবং হস্টেলেগুলির নিরাপত্তা জোরদার করতে ব্যস্ত হয়েছে। হস্টেল ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি, হস্টেলে প্রাক্তনীরা থাকছে কিনা তার উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। একই ভাবে নড়েচড়ে বসল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ও। হস্টেলের যে সব ঘরে প্রাক্তনীরা জায়গা নিয়ে রয়েছেন তাদের তুলতে উদ্যোগী হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর ইতিমধ্যে চার ছাত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরা নাকি প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন ধরে হস্টেলে জায়গা নিয়ে রয়েছেন। এরা অনেক আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়েছেন। এই ছাত্র হস্টেলে ছেড়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ছাত্র ভর্তির সময় হেল্পডস্কের আছিলায় দাদাগিরিও আর বরদাস্ত করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
(পড়তে পারেন। আগের রিপোর্টে 'অসন্তুষ্ট' ইউজিসিকে ১২টি প্রশ্নের উত্তর ও ৩১ ফাইল পাঠাল যাদবপুর)
যদিও হেল্পডেস্ক একেবার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে না। তবে যাঁরা হেল্পডেস্কে বসবেন তাঁদের বেশকিছু বিধিনিষেধ মানতে হবে। তাঁদের নাম, ফোন নম্বর, ফটো এবং তারা কী নিয়ে পড়াশুনো করেন তা বিস্তারিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগাম জানাতে হবে। এর দাদাগিরি প্রণবতা অনেক কমবে বলে মনে করছেন উপাচার্য।
এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আরও বেশি করে সিসি ক্যামেরা লাগানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে তৈরি হচ্ছে একটি অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াডও।
তবে ছাত্র সংগঠনের একাংশের দাবি, শুধু সিসিটিভি বসালে চলবে না, প্রথমবর্ষের ছাত্রদের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত সারপ্রাইজ ভিজিটে যেতে হবে কর্তৃপক্ষকে। কারণ, ঘটনার রেশ থিতিয়ে আসলেই আবার আগের মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে। তাই নিয়মিত নজরদারি না রাখলে ফের আগের পরিস্থিতি তৈরি হবে। ব়্যাগিং রুখতে সক্রিয় হতে হবে অধ্যাপকদেরও।