পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দির পরিচালন কমিটি থেকে আজ, সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হল। আজ এই আমন্ত্রণ জানাতে বিধানসভায় টিম আসে। আর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন। তখনই মুখ্যমন্ত্রী তাঁদেরকে জানালেন তিনি এই আমন্ত্রণ রক্ষা করবেন। অর্থাৎ তিনি যাবেন পঞ্জাবে। এই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে শীঘ্রই স্বর্ণমন্দিরে যাবেন বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই নিমন্ত্রণ পাওয়া তাঁর কাছে অত্যন্ত গর্বের বলেও জানান। সুতরাং এখন গোটা দেশের রাজনীতির প্রেক্ষিতে এমন আমন্ত্রণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিন বিধানসভায় আসেন জ্ঞানী রখবীর সিং, অকাল সাহিব, দরবার সাহিব। এনারাই অমৃতসর স্বর্ণমন্দিরের পরিচালন কমিটিতে রয়েছেন। আজ তাঁরা বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন। তখন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এই আমন্ত্রণপত্র পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী শিখ সম্প্রদায়ের সকল মানুষকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন। আজ, বিধানসভায় বাদল অধিবেশন ছিল। তাই সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। তাই সেখানেই দেখা করেন তাঁদের সঙ্গে।
এদিকে অমৃতসর স্বর্ণমন্দিরের পরিচালন কমিটি আগেই যোগাযোগ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বলে সূত্রের খবর। আজ, সোমবার বিধানসভায় যখন এই আমন্ত্রণপত্র নিয়ে তাঁরা হাজির হন তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গেও নানা কথা বলেন প্রতিনিধিদল। এখানে এসে তাঁরা অত্যন্ত খুশি বলে জানান। তখন পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের জানিয়ে দেন, ‘আমি শীঘ্রই পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে যাব। আজ যে আমন্ত্রণ আপনাদের থেকে পেলাম তা আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের। আমি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকব।’
আরও পড়ুন: ‘মণিপুর সামলাতে প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থ’, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাকযুদ্ধে জড়ালেন শুভেন্দু
আর কী বলেন মুখ্যমন্ত্রী? অন্যদিকে এই স্বর্ণমন্দিরের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলার সঙ্গে পঞ্জাবের সম্পর্ক বহু পুরনো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা হোক, বা স্বাধীনতা সংগ্রামে সম্মিলিত অংশগ্রহণ—বাঙালি এবং পঞ্জাবিদের মধ্যে সৌহার্দ্য বরাবরই বজায় ছিল। এই সম্পর্ক ভোলার নয়। এই দেশে আমরা সবাই মিলেমিশেই বছরের পর বছর থাকছি ও কাটাচ্ছি। তাই স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষের এই নিমন্ত্রণ পাওয়া আমার কাছে একটা গর্বের মুহূর্ত। সেই নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়েআমি শীঘ্রই পঞ্জাব যাব।’