আজ, বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাসভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটাই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক বাড়িতে করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকের পর ভার্চুয়ালি দুর্গাপুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগে উত্তর কলকাতার পাঁচটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন। তারপর জেলার দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, উত্তরবঙ্গ দিয়ে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। কোচবিহার দিয়ে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু হয়। এখান থেকে একাধিক বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখানেই মুখ্যমন্ত্রী নিজের পায়ের ব্যাপারে তথ্য জানালেন। আর জানিয়ে দিলেন কবে তিনি পথে নামছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘এমনিতে ঠিক আছি। পায়ে একটা চোট আছে। একটা ইনফেকশন হয়ে গিয়েছে। সারতে সময় লাগবে। চিকিৎসকদের নিষেধে শারীরিকভাবে যেতে পারলাম না। কিন্তু মানসিকভাবে পৌঁছে গিয়েছে। ২৭ তারিখ দুর্গাপুজো কার্নিভালে দেখা হবে।’ শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্বোধন করে এই কথাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গাপুজোর মূর্তি দেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভেরি গুড’। এটা নোট করে নিতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানের মূর্তি খুব ভাল লেগেছে মুখ্যমন্ত্রীর।
এদিকে এখন মুখ্যমন্ত্রীর ইনজেকশন চলছে বলে জানান তিনি। আর বাংলার জেলা থেকে শহর সর্বত্র আসছেন বিদেশিরা। সে কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউনেস্কো প্রতিনিধিদল আসছে। তাঁদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করবেন। বিদেশিদের ভাল করে অভ্যর্থনা করবেন। এখন তো দুর্গাপুজো বিশ্বসেরা হয়ে গিয়েছে। মাটির থালা এবং গ্লাসে ভোগ খেতে দেবেন। নাড়ু ও জলও দেবেন। সবাই খুব ভাল থাকবেন। সবাই মিলেমিশে থাকবেন। সবার দুর্গাপুজো ভাল কাটুক। এই বছর বিদেশিরা শহর এবং জেলায় যাবেন পুজো দেখতে।’
আরও পড়ুন: মন কেমন আছে? এবার শিক্ষকদের মনের খোঁজ নিতে যাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
অন্যদিকে আহিরীটোলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানের মূর্তি দেখে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘মূর্তিটা দারুণ হয়েছে। এটা সংরক্ষণ করার ইচ্ছে আছে।’ তারপরই তিনি বলেন, ‘গরিব–দুঃখি সবাই আমার পরিবার। আমরা এক, এটা বারবার প্রমাণ করতে হবে। এখানে কোনও বিভাজন নেই। ২৭ তারিখ দুর্গাপুজো কার্নিভাল হবে। সেখানে আমি উপস্থিত থাকব। সবার সঙ্গে দেখা হবে। আর ২৬ তারিখ জেলায় পুজো কার্নিভাল হবে। সেগুলি ফেসবুকে দেবেন। আমি দেখব। উত্তরবঙ্গের কালিম্পংয়ে বানভাসী পরিস্থিতি যেসব পরিবারের ঘর–বাড়ি সব ভেসে গিয়েছে তাঁদের জন্য ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করছি। আর কথা দিয়েছিলাম ধূপগুড়ি মহকুমা করব। সেটা আজ পাশ হয়ে গিয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। একটা টিম পাঠিয়ে ছিলাম আগে কালিম্পংয়ে। আর একটি টিম পাঠাবো দুর্গাপুজোর পোশাক দেওয়ার জন্য।’