এখানেই তাঁর পায়ের ভুল চিকিৎসা হয়েছিল। তারপর অনেক চেষ্টায় এখন আপাতত পা ঠিক আছে। তবে আজ, শুক্রবার রুটিন চেক আপের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই ঝটিকা উপস্থিতি দেখে চিকিৎসক থেকে নার্স সকলেই তৎপর হয়ে ওঠেন। আর সাধারণ মানুষ বাংলার নেত্রীকে একবার চোখের দেখা দেখতে ভিড় করেন। কয়েকজন মহিলা আবার হাত নাড়েন। সাধারণ মানুষ ডেকে ওঠেন ‘দিদি’ বলে। মুখ্যমন্ত্রী মুচকি হেসে তাঁদের দিকে হাত নাড়েন। এদিন হাসপাতালে ঢুকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রুটিন চেক আপের জন্যই তিনি এখানে এসেছেন। চিন্তার কোনও কারণ নেই।
যতবার পায়ে চোট লেগেছে ততবার মুখ্যমন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে আসতে দেখা গিয়েছে। আজ, শুক্রবার উডবার্ন বিভাগে প্রবেশ করার মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সময় করে উঠতে পারি না। তাই চেকআপ করাতে এসেছি। কিছু এক্স–রে, ইসিজি করতেই এসেছি।’ চলতি বছর পায়ের চোটের জেরে দীর্ঘদিন ভুগতে হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে। দুর্গাপুজোর সময় থেকে তাঁকে বাড়ি থেকে কাজ করতে দেখা গিয়েছিল। কারণ পায়ে চোট ছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়ি থেকেই সমস্ত কাজ করছিলেন। এমনকী ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন দুর্গাপুজোর। তবে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে দেখা যায় মঞ্চে।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তাঁর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যার জেরে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাতেই চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে উত্তরবঙ্গ থেকে সরাসরি নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর তিনি বাড়ি ফেরেন। বিশ্রামও নেন। তারপর কাজে ফেরেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁর পায়ে সেপটিক হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভুল চিকিৎসার জন্য আমার পায়ের এই অবস্থা।’ আর এই মন্তব্যেই এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়।
আরও পড়ুন: তিন জলাশয়কে হেরিটেজ সাইটের তকমা দিতে আবেদন, স্বপনের আর্জি রব্বানির কাছে
অন্যদিকে এখন ব্যস্ত জীবনে ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সফর থেকে শুরু করে নয়াদিল্লি ছুটে গিয়েছেন। আগামী কয়েকদিনও বেশ কয়েকটি জেলা সফর আছে। তাই এবার একবার চেকআপ করে নিতে ঝটিকা উপস্থিত হয়েছেন বাংলার জননেত্রী। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই ফিট না থাকলে প্রচারে ঝড় তোলা যাবে না। এই কারণেই আজ এসএসকেএম হাসপাতালে এসেছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী প্রাতঃভ্রমণ করেন। ট্রেডমিলেও পায়ে হেঁটে পার করেন দীর্ঘ পথ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাক্ষাৎকারে নিজের ফিটনেস সম্পর্কে বলেছিলেন, খাবার খুব পরিমিত খান। একই সঙ্গে করেন হাঁটাহাঁটিও। বৃহস্পতিবারই তিনি চাকলাতে প্রশাসনিক বৈঠক করেন।