হাতে আর বেশিদিন বাকি নেই। আগামীকাল, শনিবার মহালয়া। অর্থাৎ পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবীপক্ষের শুরু। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য আগাম বেতনের ব্যবস্থা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পেয়েছেন। আর অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আরও একটা বেতন পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সুতরাং একসঙ্গে অনেকগুলি টাকা দুর্গাপুজোর আগে হাতে চলে আসবে। কিন্তু তার মধ্যেই একাংশ রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি পুলিশের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই অভিযোগটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে ধরেছেন নিজের এক্স–হ্যান্ডেলে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেমন করে এই বিভাজন ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম নেননি। অথবা কোনও ব্যক্তির নাম নেননি। শুধু রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের মধ্যে বিভাজন এবং শত্রুতা তৈরি করার কৌশল উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল তাঁর বাড়িতে বসেছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শিক্ষাক্ষেত্রে এবং পুলিশ কনস্টেবল পদে ব্যাপক নিয়োগ করা হবে।
তারপর এমন টুইট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটে বোনাস দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। সুতরাং বোনাস নিয়েই যে বিভাজন এবং শত্রুতা ছড়িয়ে দেওয়ার কৌশল নেওয়া হয়েছে সেটা একপ্রকার পরিষ্কার। আর এই কাজটি একটি রাজনৈতিক দল এবং পৃথক ব্যক্তি করছেন বলেই অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই গোটা বিষয়টি খোলসা করে দিতেই আজ, শুক্রবার দুপুরে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সকলের বোনাসের বিষয়টি তুলে ধরলেন। যাতে কোনও বিভাজনের রাজনীতি কাজ করতে না পারে। তবে তিনি কাদের দিকে ইঙ্গিত করেছেন সেটা খানিকটা স্পষ্ট হচ্ছে রাজ্যবাসীর কাছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর আগে বসছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন, কোন বিল পেশ হতে পারে?
ঠিক কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী? কালীঘাটের বাসভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের শেষলগ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রীদের একটি নির্দেশ দেন। তিনি বলেছেন মন্ত্রীদের, দুর্গাপুজোয় বিজেপি গোলমাল পাকাতে পারে। তাই সদা সতর্ক থাকতে হবে। নিজের এলাকা ছেড়ে যাওয়া যাবে না। আর আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, ‘কিছু অসুস্থ ইন্ধনকারী রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের মধ্যে বিভাজন এবং শত্রুতা তৈরি করতে। আমি নিশ্চিত করছি রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত সিভিক ভলান্টিয়াররা সমান বোনাস পাচ্ছেন ৫ হাজার ৩০০ টাকা করে। আশা কর্মীরাও ৫ হাজার ৩০০ টাকা করে বোনাস পাচ্ছেন। আমার সহকর্মীদের দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা রইল।’