সময় আর বেশি বাকি নেই। জুলাই মাস প্রায় শেষের পথে। তারপরে আর কয়েকটি মাস থাকছে হাতে। তারপরই দেশজুড়ে শুরু হয়ে যাবে লোকসভা নির্বাচন। যা এই দেশের মানুষের কাছে হাইভোল্টেজ। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারে বসে আছেন মোদী ব্রিগেড। অন্যদিকে এককাট্টা হচ্ছেন বিরোধী দলগুলির নেতা–নেত্রীরা। সুতরাং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হবে টানটান উত্তেজনার মধ্যে। এই আবহে জুলাই মাসেই আবার বৈঠকে বসতে চলেছে বিরোধী দলগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লেগেছিল। এখনও চিকিৎসা চলছে। তা নিয়েই তিনি বেঙ্গালুরু যাবেন বলে সূত্রের খবর। এমনকী তাঁর সফরসঙ্গী হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এদিকে এখন পাখির চোখ ২০২৪ সাল। দেশের স্বার্থে বিজেপিকে হটাতে চান বিরোধী দলগুলি। তাই একমঞ্চে আসা। আবার বাংলার মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই তথ্য ইতিমধ্যেই অন্যান্য দলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তার পর এই বিরোধী বৈঠক বেশ জমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধছে বিরোধীরা। তাই গত ২৩ জুন নীতীশ কুমারের উদ্যোগে পাটনায় বৈঠকে বসেছিল ১৭টি দল। একমঞ্চে এসেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকে সেটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান সকলে। সেখানেই তৈরি হবে স্ট্র্যাটেজি।
অন্যদিকে এই দ্বিতীয় দফার বৈঠকে থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেটা দুটো কারণে। এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট আছে। সেই অবস্থায় তিনি যাবেন। তাই পাশে থাকা। দুই, তাঁরও কিছু বার্তা দেওয়ার আছে। সেখানে উঠে আসতে পারে বাংলার কংগ্রেসের ভূমিকাও। আগের বিরোধীদের বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমি পাটনায় মিটিং করতে বলেছিলাম, কারণ পাটনা থেকে যা শুরু হয় সেটা একটি আন্দোলনের রূপ নেয়। আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং একসঙ্গে লড়ব। আমাদের বিরোধী বলবেন না। আমরাও এই দেশের নাগরিক। আমরাও দেশপ্রেমিক।’
আরও পড়ুন: অগস্ট মাসেই রাজ্য সফরে আসছেন অমিত শাহ, সুকান্তকে জরুরি তলব কেন?
কবে নাগাদ বৈঠক হবে? এই মাসেই আবার বৈঠক বসছেন বিরোধী দলগুলির নেতা–নেত্রীরা। ১৭ ও ১৯ জুলাই এই বৈঠক হবে বেঙ্গালুরুতে। সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির থাকছেন বলেই সূত্রের খবর। তাঁর সঙ্গে বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখান থেকে ফিরেই তাঁরা যোগ দেবেন একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে চরম বার্তা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এরকমই সফরসূচি তৈরি আছে। তবে পরে তা বিশেষ কোনও কারণে বদলে যেতেও পারে। ইতিমধ্যেই তিনি আসছেন কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।