বিশাখাপত্তনমে কলকাতার কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রবিবার মৃত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আশ্বাস দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ফোনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ার পর রবিবার নেতাজিনগরে এসে অরূপ বলেন, ‘পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অবিলম্বে নেতাজিনগর থানায় এফআইআর দায়ের করা হবে। প্রয়োজন হলে সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হবে। পুরো ঘটনা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী।’
যদিও ভিন রাজ্যের একটি ঘটনায় (অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ঘটনা ঘটেছে) পৃথকভাবে তদন্ত করার ক্ষমতা পশ্চিমবঙ্গের (কলকাতার) পুলিশের হাতে আদৌও আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। ওই মহলের মতে, যে এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে, তা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আওতায় পড়ে না। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'একটি রাজ্যের পুলিশ অপর রাজ্যের (কোনও ঘটনায়) তদন্ত করতে পারে না। বিশেষত (বিশাখাপত্তনমে) ইতিমধ্যে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।'
কী ঘটনা ঘটেছিল?
কিশোরীর পরিবারের দাবি, গত ১৬ জুলাই বিশাখাপত্তনমের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় কিশোরীর। যিনি মেডিক্যাল প্রবেশিকার প্রস্তুতির জন্য একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি হয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয় যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। যদিও কিশোরীর পরিবারের দাবি, আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে।
রবিবার পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর কিশোরীর বাবা দাবি করেন যে মেয়ের মৃত্যুর উপর তাঁর উপর চাপ তৈরি করেছিল বিশাখাপত্তনম পুলিশ। মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে যাতে বয়ান দেন, সেজন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তারইমধ্যে অরূপ জানিয়ে দিলেন যে ওই ঘটনায় তদন্ত করবে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিং তত্ত্ব উঠে এসেছে। যে ঘটনা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে যে বিষয়গুলি অনেকদিন চাপা ছিল, সেগুলি প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যে ১০ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।