বেআইনি জমায়েতের অভিযোগ ভিত্তিহীন। পুলিশের অনুমতি নিয়েই সাত বছর আগে সিইএসসি দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছিল। ২০১৫ সালে সিইএসসির সামনে বিক্ষোভ অবস্থান নিয়ে এই কথাই জানালেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। আদালতে অবশ্য তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিইএসসি দফতরের সামনে দিনভর অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট।
বামফ্রন্টের এই কর্মসূচির প্রেক্ষিতে বেআইনি জমায়েতের অভিযোগ তুলে বাম নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। সেই মামলাতেই এদিন সশরীরে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র। গত মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে আসার পর বিমানবাবু বলেন, ‘আমরা নিজেদের দোষী মনে করি কিনা, সেটা আদালত জানতে চেয়েছিল। বলেছি, আমরা নির্দোষ। আশা করি, মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।’ আদালতের তরফে ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে বিমান বসুদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হয়। আগামী ৪ নভেম্বর পরবর্তী মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
জানা যায়, সিপিআইয়ের তৎকালীন রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার, সিপিএমের তৎকালীন জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের নামেও মামলা হয়েছিল। তাঁরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সিটু নেতা নিজামুদ্দিনের নামেও মামলা হয়েছিল। তবে তিনি এর মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন। ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতি ১০০ ইউনিটে ৬১ শতাংশ বিদ্যুতের মাশুল বাড়িয়েছিল সিইএসসি। এরই প্রতিবাদে জেলা বামফ্রন্টের তরফে এই অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিল বাম নেতারা।