ইস্তফা দিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ব্যক্তিগত কারণ দর্শিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। তার ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে চতুর্থ অ্যাডভোকেট জেনারেল ইস্তফা দিলেন।
মঙ্গলবার দুপুর একটা নাগাদ টুইটারে অ্যাডভোকেট জেনারেলের ইস্তফাপত্র পোস্ট করেন ধনখড়। সঙ্গে লেখেন, 'সংবিধানের ১৬৫ ধারা অনুযায়ী, বর্ষীয়ান আইনজীবী এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের দেওয়া ইস্তফাপত্র অবিলম্বে গ্রহণ করলাম আমি।' সেই ইস্তফাপত্রে অ্যাডভোকেট জেনারেল লিখেছেন, 'ব্যক্তিগত কারণে আমি অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। দয়া করে তা গ্রহণ করুন। রাজ্য সরকারের জন্য কাজ করতে পেরে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা ভালো।'
২০১৭ সালে কিশোর দত্তকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁর আগে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন জয়ন্ত মিত্র। যিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রাজ্য সরকারের মতবিরোধের কারণে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সেদিনই ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল লক্ষ্মী গুপ্ত। তবে কিশোর দত্তের সঙ্গে সেই অর্থে রাজ্যের মতবিরোধ ছিল না বলে দাবি একাংশের।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে কিশোর দত্তের কাজে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিল না রাজ্যের শাসক দল। পরিণামস্বরূপ তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে ওই সূত্রের দাবি। নাম গোপন রাখার শর্তে এক তৃণমূল নেতা বলেন, গত কয়েক মাসে কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক ধাক্কা খাওয়ায় কিশোর দত্তের ভূমিকায় অখুশি ছিল রাজ্য সরকার। সবথেকে বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে গত ১৮ জুন। যখন ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্তের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে ১৯ অগস্ট ধর্ষণ, খুনের মতো অভিযোগে সিবিআই তদন্তে নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। ওই তৃণমূল নেতার কথায়, ‘সম্প্রতি একটি মামলার শুনানির সময় হাইকোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যের আইনজীবীরা হামেশাই শুনানির সময় অনুপস্থিত থাকেন।’ সেই বিষয়টি নিয়ে কিশোর দত্তের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।