রাজ্যপালকে সরিয়ে রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের কথা জেনে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘কলঙ্কের এটুকুই বা আর বাকি থাকে কেন?’
বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন, আজকে রাজ্যপালের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য নিয়োগের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এর পর বিষয়টি বিল আকারে বিধানসভায় পেশ করা হবে। তার পর আইনের আকার নেবে এই প্রস্তাব। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে রাজ্য – রাজ্যপাল দ্বন্দ নতুন শিখরে পৌঁছলো বলে মনে করছেন অনেকে।
আইনজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি অতটা সহজ নয়। রাজ্যপালকে সরাতে বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে সেই বিল পাঠাতে হবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছেই। আর তাতে রাজ্যপাল সই না করলে অর্ডিনান্স জারি করতে হবে সরকারকে। কিন্তু ২ দফার বেশি জারি করা যাবে না একই অর্ডিন্যান্স। তবে ততদিনে ধনখড়ের রাজ্যপাল হিসাবে মেয়াদও ফুরিয়ে যাবে। তার পর বিলের প্রাসঙ্গিকতা না ও থাকতে পারে।
রাজ্য সরকার সূত্রের খবর, ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি একটি কমিটি রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার প্রস্তাব দেয়। তবে এখনো সেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করেনি কোনও সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য নিয়োগের প্রস্তাবকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যিনি এপাং ওপাং ঝপাং লিখে পুরস্কার পেতে পারেন তাঁর মতো গুণী মানুষই এই পদে যোগ্য। সম্প্রতি SSC দুর্নীতিতে ১৫,০০০ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী ভাবছেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলেই যদি এত টাকা থাকে তাহলে কলেজ – বিশ্ববিদ্যালয়ে না জানি কত টাকা রয়েছে। তাই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। কলঙ্কের এটুকুই বা আর বাকি থাকে কেন?’