বিকাশ ভবনের সামনে পাঁচ শিক্ষিকার বিষপানের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্য–রাজনীতি। এই ঘটনাটি ঘটেছিল বদলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। অথচ নিজের জেলায় তথা বাড়ির কাছের স্কুলে বদলির ব্যবস্থা করাই রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতি। তার জন্য প্রকল্পও আনা হয়েছে। কিন্তু তারপরও পাঁচ শিক্ষিকার বদলি নিয়ে বিতর্ক আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তার মধ্যেই ফের ৯ জন শিক্ষিকাকে বদলি করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সুতরাং তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক।
এই নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বহরমপুর মিউনিসিপ্যালিটির অধীনে পাঁচজন এসএসকে শিক্ষিকাকে বদলি করা হয়েছে দিনহাটা, ঝাড়গ্রাম, গঙ্গারামপুর, এগরা এবং মালে। আর মেদিনীপুর মিউনিসিপ্যালিটির অধীনে চার এসএসকে শিক্ষিকাকে বেলডাঙা, মুর্শিদাবাদ, বালুরঘাট এবং ধূপগুড়িতে বদলি করা হয়েছে। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন করে বিতর্ক।
এদিকে শিক্ষিকাদের বিষপান বিতর্কের মধ্যেই নতুন করে ৯ জন এসএসকে শিক্ষিকার বদলিতে ফের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আবার অপ্রীতিকর কিছু ঘটতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, মাত্র ১০ হাজার টাকার বেতনে বাড়ি থেকে অনেক দূরে গিয়ে শিক্ষকতা করা কী সম্ভব? কেন এমন করা হচ্ছে? এই যৌক্তিকতা কোথায়?
এই বিষয়ে কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা’র সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু (ঘোষ) সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘এটা আন্দোলনের কোনও পথ হতে পারে না। বদলির মতো একটা ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আসলে সরকার ও শিক্ষা দফতরকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা। আত্মহত্যার চেষ্টা কখনওই প্রতিবাদের পথ হতে পারে না।’