কলকাতা ও হাওড়ায় কেন আগে পুরভোটের প্রস্তাবনা করেছে তা আদালতকে হলফনামা দিয়ে জানাল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়া হলফনামা অনুসারে রাজ্যের এই ২ শহরে করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের হার সব থেকে বেশি। যার ফলে এই ২ শহরে আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
হলফনামায় জানানো হয়েছে, কলকাতার ৮৫ শতাংশ ও হাওড়ার ৫৫ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছে। যার ফলে এই ২ শহরে সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা সব থেকে কম। হলফনামায় জানানো হয়েছে, এই ২ শহরের পরে অন্যান্য পুরসভাগুলিতেই নির্বাচন করানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ২৪ নভেম্বর।
রাজ্যে মোট ১১২টি পুরসভা ও পুরনিগমে নির্বাচন বকেয়া। তার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতা ও হাওড়ায় নির্বাচন করানোর সুপারিশ করে কমিশনকে চিঠি দেয় রাজ্য। বিজেপির দাবি, কেন কলকাতা ও হাওড়ার নির্বাচন আলাদা হবে? সঙ্গে বিজেপির তরফে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে, পুরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আলাদা আলাদা দিনে হলেও গণনা যেন একইসঙ্গে হয়।
একই সঙ্গে রাজ্যের এই হলফনামায় উঠেছে অন্য একটি প্রশ্ন। অনেকের মতে, কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট আগে করানোর জন্য টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবরের তথ্য অনুসারে গোটা রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন মাত্র ২২ শতাংশের কিছু বেশি মানুষ। সেখানে কী করে কলকাতায় টিকাকরণের হার ৮৫ শতাংশে পৌঁছল?