রাম নবমীর হিংসা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় একটি ভিডিয়োকে সামনে এনেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক যুবকের হাতে পিস্তল রয়েছে। এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে যে ফুটেজ সামনে আসছে তাতে দেখা যাচ্ছে কোমরে পিস্তল গুঁজে রাম নবমীর মিছিল হচ্ছে। দেখুন এটা। এর সঙ্গেই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এটা কী ধরনের শোভাযাত্রা? উগ্রভাবে ডিজে বাজিয়ে রামকে স্মরণ করার এ কোন প্রথা? আমরা এতদিন ধরে বাংলায় বাস করছি এরকম পরিস্থিতি তো কোনওদিন লক্ষ্য করিনি। এর সঙ্গেই তাঁর সংযোজন নিশ্চিন্তে থাকুন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এলাকা অশান্ত করেছে. মানুষের উপর অনৈতিকভাবে চড়াও হয়েছে তাদের একজনকেও ছাড়া হবে না।
এদিকে এদিন সোস্যাল মিডিয়াতেও সেই ছবি ঘুরছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক যুবকের হাতে পিস্তল। তিনি রাম নবমীর মিছিলে রয়েছেন। কিন্তু রাম নবমীর মিছিলে পিস্তল কেন এই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্য়েও উঠছে।
এর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমরা অন্নপূর্ণা পুজো করি, বাসন্তী পুজো করি। রাম নবমী করি। কিন্তু রাম কোনওদিন বন্দুক নিয়ে, তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় নামেনি। বন্দুক ছুঁড়তে পারে কেউ। নাটের গুরু যারা তাদের ধরতে হবে। ক্রিমিনাল মাথা। সেই মাথাদের ধরতে হবে।
এদিকে অভিষেক-মমতার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, ভাইপো ছবি দেখিয়েছে। যার হাতে পিস্তল ছিল তার বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিক। বিজেপির তাতে কোনও আপত্তি নেই। তাঁর স্পষ্ট কথা, আমাদের লোকজন আগুন ধরানোর কাজ করে না। কেউ পিস্তল নিয়ে মিছিলে এলে আমরা তাকে সমর্থন করি না। এর সঙ্গেই তিনি বলেন জয় শ্রীরাম বলা যাবে না এটা কোথায় বলা হয়েছে।
এদিকে অভিষেক এদিন অভিযোগ তোলেন মিছিলের কোনও অনুমতি ছিল না। এনিয়ে কাগজ তুলে দেখান তিনি। বলেন শ্বেতপত্র প্রকাশ করছি। তবে শুভেন্দু কাগজ দেখিয়ে এদিন একাধিকবার দাবি করেন মিছিলের জন্য অনুমতি ছিল। তিনি বলেন, তোষণের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাম নবমী কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ছিল না। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তথা কিছু সংগঠন এই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। আমরা রাম নামে জয়ধ্বনি দেব, ধ্বজা নিয়ে হাঁটব এটাই তো লক্ষ্য ছিল।