সপ্তমীর সন্ধ্যায় বিজেপিতে যে তোলপাড় শুরু হয়েছিল তা শেষ হল অষ্টমীর বিকেলে। ভিডিয়ো বার্তায় ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ জানালেন, কারও জন্য দল ছাড়বেন না তিনি। সঙ্গে বলেন, রাজ্যে বিজেপির সরকার আনতে হবেই। সেজন্য যুব মোর্চার কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সপ্তমীর দুপুরে এক নির্দেশিকায় যুব মোর্চার সমস্ত জেলা কমিটি ভেঙে দেন বিজপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে বরখাস্ত করেন যুব মোর্চার সমস্ত জেলা সভাপতিকে। এতেই প্রকাশ্যে চলে আসে দিলীপ ও সৌমিত্র দ্বন্দ। প্রতিক্রিয়ায় সৌমিত্র জানান, এব্যাপারে কিছু জানি না। দিলীপ দা আমাকে কিছু জানাননি।
পরদিন সকালে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে নিজের ইস্তফা ঘোষণা করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন সৌমিত্র খাঁ। এর পর তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টা পর ফের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দেন সৌমিত্র।
বিকেলে এক ভিডিয়ো বার্তায় সৌমিত্র সবাইকে অষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘অভিমান হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যক্তির জন্য তো আমরা দল ছাড়ব না। দল হল আমাদের পরিবার। ভারতীয় জনতা পার্টি যে সম্মান আমাকে দিয়েছে.... লক্ষ লক্ষ যুবক নরেন্দ্র মোদীজি ও অমিত শাহজিকে দেখে এগিয়ে আসছে। তাই আমাদের যুব মোর্চার একটাই কাজ হবে। গোটা বাংলায় আন্দোলন, আন্দোলন আর আন্দোলন।’
সৌমিত্রর মন্তব্যে স্পষ্ট, দিল্লির নেতাদের প্রিয়পাত্র হয়ে রাজ্যে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মোকাবিলা করতে চান তিনি। সূত্রের খবর, শনিবার দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার পর দলে কাউকে পাশে পাননি সৌমিত্র। এর পরই পরিস্থিতি লঘু করতে উদ্যোগী হয় তাঁকে।