রোদ পোহাতে গিয়ে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হলো এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম অনির্বাণ ভট্টাচার্য। কলকাতার হরিদেবপুরের ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। নেশা মুক্তি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় বছর ৩১ এর ওই যুবকের ঝাঁপ দেওয়ার কথা জানানো হলেও সেই দাবি অবশ্য মানতে চাননি পরিবারের লোকেরা। তাদের অভিযোগ, ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে অনির্বাণকে। যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে এ নিয়ে তারা থানায় অভিযোগ জানাবেন বলে জানা যাচ্ছে।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, রবিবার নেশা মুক্তি কেন্দ্রের দোতলার ছাদ থেকে পড়ে যায় অনির্বাণ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে এনিয়ে ফোন পাওয়ার পরেই হাসপাতালে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসকরা অনির্বাণকে মৃত ঘোষণা করেন। অনির্বাণের বাবা সঞ্জয় ভট্টাচার্য রেলে কাজ করতেন। অবসর নেওয়ার পর এখন তিনি বাড়িতেই রয়েছেন। এরইমধ্যে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র অনির্বাণ। কোনও ভাবেই তার নেশা ছাড়ানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই ছেলেকে তিনি হরিদেবপুরের ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করেন।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, গত সপ্তাহে অনির্বাণের সঙ্গে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা করে এসেছেন তার বাবা। তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে অনেক কথা হয়েছিল। সেখানে থাকার পর অনির্বাণ কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠছিল বলে দাবি পরিবারের। এই অবস্থায় একমাত্র ছেলের আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকে মুহ্যমান অনির্বাণের পরিবার।
তারা অভিযোগ করেছেন, যেভাবে অনির্বাণের দেহ রাস্তায় পড়েছিল তাতে মনে হচ্ছে না যে সে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল। তাছাড়া, অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠছিল অনির্বাণ। ফলে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের ঝাঁপ দেওয়ার দাবি মেনে নিতে চাইছেন না তারা। ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলেই তারা অভিযোগ করছেন।একইসঙ্গে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অভিযোগ তুলেছেন তারা।
অন্যদিকে, নেশা মুক্তি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে শ্বাস্বতী মন্ডল জানিয়েছেন, ' শীতকালে রোদ পোহানোর জন্য অনির্বাণকে ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সঙ্গে একজন সহায়ক ছিলেন। তবে সহায়কের চোখ অনির্বাণের ওপর থেকে সরতেই সে ছাদের রেলিংয়ে উঠে ঝাপ দেয়।'