করোনা পরিস্থিতির জেরে গত বছরের মার্চের শেষে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রেল পরিষেবা। প্রায় সাত মাস বন্ধ ছিল এই পরিষেবা। এরপর ধাপে ধাপে শুরু হয় রেল পরিষেবা। এবার বাংলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। তবে ট্রেনে ভিড় এখনও কমেনি। এসবের মধ্যেই পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে একাধিক চালক, গার্ড ও টিকিট পরীক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে যাঁরা রেল পরিষেবা দেন তাঁদের টিকাকরণও হয়েছে। কিন্তু তারপরেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রেলকর্মীদের একাংশ। এটাই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রেলকে।
এবার প্রশ্ন এই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে কতদিন রেল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব? তবে আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'সামনের সারিতে থেকে কাজ করছেন এমন রেলকর্মীদের একটা বড় অংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চালক, গার্ড সহ অনেকেই রয়েছেন এই আক্রান্তের তালিকায়। তবে এখনও পর্যন্ত রেল পরিষেবায় তার বড় কোনও প্রভাব পড়েনি। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।'
আশার কথা শুনিয়েছেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষও। তিনি বলেন, 'সামনের সারিতে থেকে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের টিকারকরণ হয়েছে। তারপরেও কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে রেল পরিষেবায় তার প্রভাব বিশেষ পড়েনি। এখনও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। করোনাকালে নতুন করে ট্রেন চালু হওয়ার পরে কিছু ট্রেন কম চলছে। তবে সকলকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে'। তবে রেল যতই আশ্বস্ত করুক, সাধারন রেলযাত্রীদের একাংশের দাবি, ট্রেনে এখন যথেষ্ট ভিড় হচ্ছে। এতে যাত্রীদের সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে। তবে রেল কর্মী, আধিকারিকরাই যদি করোনায় আক্রান্ত হন তবে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা কী আদৌ সম্ভব?