সদ্য শুক্রবার সকালে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরার পর ইডি সন্ধ্যে গড়াতে বের হয়। এদিকে, যে সূত্র ধরে ইডি সুজিত বসু পর্যন্ত পৌঁছেছে, তার নেপথ্যে ছিল অয়ন শীলের দফতর ও বাড়ি থেকে উদ্ধার কিছু নথি। যে নথিতে ইংরেজিতে ‘এস বি’ লেখা ছিল। 'এস বি' ইঙ্গিত ঘিরে সুজিত বসুকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তার জবাবে সোজা বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করেন।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলবন্দি অয়ন শীল। তাঁরই দফতর ও বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত নথিতে উল্লেখ ছিল ‘এসবি’র। কে এই 'এসবি'? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এদিকে, শুক্রবার ইডির তল্লাশির পর সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী। তিনি জানান, সকালে তাঁর বাড়িতে ইডি আসতেই, তাঁর ছেলে জানান ইডির সদস্যরা এসেছেন। সুজিত বসু বলেন, 'বসতে বলো'। এরপর শুরু হয় ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি। তল্লাশি শেষে যে সাংবাদিক সম্নেলন সুজিত করেছেন, সেখানে একবারও তাঁর মুখে আসেনি অয়ন শীলের নাম। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন যে, অয়ন শীলের সঙ্গে কি সুজিত বসুর কোনও যোগাযোগ রয়েছে? সুজিত বসু সাফ জানান, ‘যে সমস্ত লোকের নাম বলা হচ্ছে, সেই সমস্ত লোকের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। আমি এসব লোকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি না।’ এরই সঙ্গে সুজিত বসু বলেন,'আমি বিভিন্ন জায়গায় যাই। আমার সঙ্গে কেউ যদি দাঁড়িয়ে কয়েকটা ছবি তুলে নেয়, তাহলে আমি কী করব? কিন্তু যাঁদের নাম বললেন, তাঁদের সঙ্গে সুজিত বসুর কোনও যোগাযোগ নেই।' প্রশ্ন ফের যায়, ‘এসবি’ সাংকেতিক নাম নিয়ে। দমকল মন্ত্রী বলেন, ‘আরে এসবি তো সুকান্তও হতে পারে। শুভেন্দুও হতে পারে। আপনি কেন সুজিত বসু বলছেন?’
এরসঙ্গেই সুজিত বসু বলেন, ‘ওইটা শুভেন্দু আর সুকান্ত হবে।’ তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘এসবি মানেই সুজিত বলু হয়ে গেল?’ রাজ্যের দমকল মন্ত্রী বলছেন, ‘শুনুন এসব ছেঁদো কথার কোনও দাম নেই। যাঁরা এসব নেয় তাঁদের বিরুদ্ধে এসব বলুন, যাঁরা রুমাল পেঁচিয়ে টাকা নেয়, তাঁদের কথা বলুন।’ এদিকে, তদন্তকারীদের সন্দেহ 'এসবি' ইংরেজি অক্ষর দুটি মিলিয়ে কি সুজিত বসুর দিকেই ইঙ্গিত যাচ্ছে? প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান ছিলেন সুজিত। ওই সময়ের মধ্যে কমবেশি ৬০টি পুরসভায় কর্মী নিয়োগের কাজের বরাত অয়নের সংস্থা ‘এবিএস ইনফোজ়োন’ পেয়েছিল। একথা ইডি আধিকারিকদের জানান অয়ন।