বাংলা নিউজ > ব্র্যান্ড পোস্ট > সবার স্বাস্থ্যের অধিকার: বাংলায় চিকিৎসা খরচ কমাতে স্বাস্থ্য বিমা

সবার স্বাস্থ্যের অধিকার: বাংলায় চিকিৎসা খরচ কমাতে স্বাস্থ্য বিমা

স্বাস্থ্য বীমা

হেল্থ ইনসিওরেন্স আপনার অসময়ের বন্ধু। কেন এটি এত দরকারি? কী করবেন, জেনে নিন। 

আমরা সবাই চাই সুস্থ শরীরে নিশ্চিন্তে জীবন কাটিয়ে দিতে। তবু হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে একসঙ্গে অনেক টাকার দরকার হতে পারে। তখন বাধ্য হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সঞ্চয় করে রাখা টাকায় হাত দিতে হয়। তার ফলে হয়তো কারও সন্তানের ভবিষ্যৎ শিক্ষার পরিকল্পনা, কারও বা নিজের একটি ফ্ল্যাট বা বাড়ি তৈরি করার স্বপ্ন প্রশ্নের মুখে পড়ে। এই আকস্মিকভাবে আসা বিপদের হাত থেকে বাঁচার একটি উপায় হল হেল্থ ইনসিওরেন্স।

হেল্থ ইনসিওরেন্স কী?

হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসি হল এমন একটি ব্যবস্থা যা হঠাৎ করে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে আর্থিক সহায়তা দেয়। এটি পলিসি-হোল্ডার (যার নামে হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যানটি আছে) আর ইন্সিওরেন্স কোম্পানির মধ্যে একটি চুক্তি যা অসুস্থতা, আঘাত বা স্বাস্থ্যজনিত দুর্ঘটনার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করে। 

প্রিমিয়াম কী এবং তা কীভাবে নির্ধারিত হয়?

একটি হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসির মধ্যে মূলত থাকে- হাসপাতালে ভর্তির খরচ, হাসপাতালে ভর্তির আগের ও পরবর্তী খরচ, চিকিৎসার ও সার্জারির খরচ, প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধপত্রের খরচ, ডাক্তারের পরামর্শ বাবদ ফিস, প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষা, অ্যাম্বুলেন্সের খরচ এবং আরও অনেক কিছু। যদি আপনার একটা হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসি থাকে, তাহলে আপনার প্রয়োজনে চিকিৎসা সংক্রান্ত এইসব খরচ ইনসিওরেন্স কোম্পানি দেবে। বিনিময়ে আপনি একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ইনসিওরেন্স কোম্পানিতে জমা করবেন ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক হিসাবে যা আপনার সুবিধা, যাকে প্রিমিয়াম বলে। 

আপনাকে যে প্রিমিয়াম দিতে হবে তা নির্ভর করে ইনসিওরেন্সের অঙ্কের পরিমাণ, আপনার বয়স, চিকিৎসার ইতিহাস, প্রি-এক্সিস্টিং ইলনেস বা পূর্ব-বিদ্যমান অসুস্থতা (যদি থাকে), এবং কোন প্রকারের হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যান কিনছেন তার ওপর।

চিকিৎসার খরচ কীভাবে নিষ্পত্তি হয়?

হেল্থ ইনসিওরেন্স কোম্পানি দুইভাবে আপনাকে চিকিৎসার খরচ দিতে পারে। সেগুলি হল-

  • ক্যাশলেস চিকিৎসা: এখানে, হাসপাতাল পলিসি হোল্ডারের কাছ থেকে চিকিৎসা বাবদ কোনও রকম খরচ নেয় না। আসল বিলগুলো জমা করার পরে, চিকিৎসার সব খরচ আপনার হয়ে ইনসিওরেন্স কোম্পানি সরাসরি হাসপাতালকে মিটিয়ে দেয়। 
  • রিইমবার্সমেন্ট: এখানে, প্রথমে পলিসি হোল্ডার চিকিৎসার সব খরচ হাসপাতালকে মিটিয়ে দেয়। পরে সেই টাকা দাবি করলে ইনসিওরেন্স কোম্পানি তা পলিসি হোল্ডারকে ফিরিয়ে দেয়।

যাঁরই হেল্থ ইনসিওরেন্স করা আছে, সেই আপনাকে বলবে আপনি যদি উপার্জনশীল হন তাহলে হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসি করা হল একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত।

বিভিন্ন রকমের হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যান 

হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসি সাধারণত এই  ধরনের হয়:

  1. ইনডিভিজুয়াল বা সেল্ফ প্ল্যান: এই প্ল্যান অনুযায়ী শুধুমাত্র পলিসি হোল্ডার হেল্থ ইনসিওরেন্সের অন্তর্ভূক্ত হবেন এবং অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
  2. ফ্যামিলি ফ্লোটার পলিসি: এক্ষেত্রে, শুধুমাত্র একটি প্ল্যান আপনার পুরো পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষার আওতায় আনবে, যেমন আপনার স্বামী/স্ত্রী, আপনার ওপর নির্ভরশীল সন্তানরা, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, এবং নির্ভরশীল ভাই-বোনেরা।
  3. সিনিয়র সিটিজেনদের মেডিকাল ইনসিওরেন্স: এই ধরনের সাস্থ্য বীমা বিশেষ করে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচ বহন করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ধারা 80D এর অধীনে একটি আর্থিক বছরে 25,000 টাকা ছাড়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র সিটিজেনদের ক্ষেত্রে, এই ছাড়ের সীমা হল 50,000 টাকা। 

সিনিয়র সিটিজেনদের মেডিকাল ইনসিওরেন্স হাসপাতালে ভর্তি, সার্জারি এবং কিছু পূর্ব-বিদ্যমান (প্রি-এক্সিস্টিং) অসুস্থতায় আর্থিক সুরক্ষা দেয়। কিছু সিনিয়র সিটিজেন হেলথ ইনসিওরেন্স পলিসিতে কো-পেমেন্ট অপশন অন্তর্ভুক্ত থাকে, এর মানে হল এই হেল্থ পলিসি চিকিৎসার খরচের একটি বড় অংশ পরিশোধ করবে এবং বাকিটা আপনাকে দিতে হবে।

সিনিয়র সিটিজেনদের মেডিকাল ইনসিওরেন্স প্ল্যানের প্রিমিয়াম তাঁদের বয়সের কারণে বেশি। তাই প্রিমিয়াম কম কিন্তু চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করে এমন একটি পলিসি বেছে নেওয়া উচিত।

সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য হেল্থ ইনসিওরেন্সেও ওয়েটিং পিরিয়ড (অপেক্ষা করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা) থাকে। ACKO সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যান বিনামূল্যে বা অল্প মূল্যে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা (প্রিভেন্টিভ হেল্থ চেকআপ) এবং মেডিক্যাল পরীক্ষার সুযোগ প্রদান করে, যাতে ধরা পড়েনি এমন কোনও রোগের কারণে আপনার স্বাস্থ্য যেন সংকটাপন্ন না হয়।

অন্য অনেক স্বাস্থ্য বীমাকারীর মতো ACKO স্বাস্থ্য প্রকল্পের জন্য যোগ্য হতে বয়স্কদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। এই পলিসিগুলি নো-ক্লেম বোনাস এবং সিনিয়র সিটিজেনদের ক্যাশলেস হাসপাতালে ভর্তির সুবিধাও দেয়। 

  4. ‘ক্রিটিক্যাল ইলনেস’ ইনসিওরেন্স প্ল্যান: এই পলিসি ক্যানসার, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, রেনাল ফেলিয়র, পার্কিনসন্স ডিজিস ইত্যাদি গুরুতর এবং প্রাণঘাতী  রোগগুলির জন্য আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে। এই রোগগুলিতে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও জীবনধারা পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। পে-আউটটি ইনসিওরেন্স হোল্ডারের বেছে নেওয়া গুরুতর অসুখে আর্থিক সুরক্ষা দেয় রোগ নির্ণয় হয়ে যাওয়ার পরে। এই আর্থিক সুরক্ষা জীবনধারা পরিবর্তন এবং ওষুধ পরিবর্তনের জন্য অর্থ ব্যবহার করার নমনীয়তা দেয়। এছাড়াও অসুস্থতার কারণে কাজ শুরু করতে না পারলে এটি আয়ের একটি বিকল্প হতে পারে।

  5. গ্রুপ হেল্থ ইনসিওরেন্স: এই হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যানগুলি সাধারণত কোম্পানির কর্মচারী বা সংস্থার সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি গ্রুপকে আর্থিক সুরক্ষা দেয়। গ্রুপ হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসি একটি ইনডিভিজুয়াল প্ল্যানের থেকে কম প্রিমিয়ামে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।

হেল্থ ইনসিওরেন্সের সুবিধার দিকগুলি

হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসি কেনার কথা আমরা ততক্ষণ এড়িয়ে যাই যতক্ষণ না এর গুরুত্ব বুঝতে পারি। আর জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন জীবনে যে কোনও সময়ে আসতে পারে। তাই একটি সাস্থ্য বীমা পলিসি কেনার আগে এর সুবিধাগুলো অবশ্যই জেনে নেওয়া দরকার।

আপনার বয়স, আপনার সন্তান/সন্তানদের বয়স, আপনার চিকিৎসার ইতিহাস, পরিবারের চিকিৎসার ইতিহাস, আপনার বাজেট এইসব বিষয়গুলি বিবেচনা করে কোন প্ল্যান নেবেন সেটি নির্বাচন করা উচিত।

এটি যত তাড়াতাড়ি করবেন ততই আপনার লাভ। কারণ অল্প বয়সে (আপনার নিজের স্বাস্থ্য যখন ভালো অবস্থায় আছে) হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যান করলে আপনি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারেন, যেমন- ইনসিওরেন্সে আর্থিক সুরক্ষার অঙ্ক বেশি পাবেন, প্রিমিয়ামের হার কম হবে, কোন মেডিক্যাল পরীক্ষা লাগবে না ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি আপনার দেওয়া প্রিমিয়ামের ওপরে ট্যাক্সে ছাড়ের সুবিধাও পাবেন। 

একটি হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসির সুবিধাগুলো এক কথায় বললে-

  • নিজের পকেট থেকে অনেক বেশি খরচের চিন্তা ছাড়া উন্নত মানের চিকিৎসা পাওয়া যায়।
  • ওয়েটিং পিরিয়ডের পরে পূর্ব-বিদ্যমান অসুখে আর্থিক সুরক্ষা দেয়। 
  • গুরুতর অসুখে বিশেষ আর্থিক সুরক্ষা মেলে। 
  • রাস্তায় জরুরি অ্যাম্বুলেন্সের খরচ প্রদান করে।
  • কম বয়স্কদের সাশ্রয়কর প্রিমিয়ামের সুযোগ আছে।
  • ক্যাশলেস দাবির সুবিধা দেয়, ফলে আপনাকে মোটা অঙ্কের চিকিৎসার খরচ নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হয় না।
  • বিভিন্ন রকমের ডে-কেয়ার পদ্ধতিগুলির আর্থিক খরচ দেয়, যেমন ডায়ালিসিস, কেমোথেরাপি, ক্যাটার‍্যাক্ট, রেডিয়েশন, টনসিলেক্টমি ইত্যাদি।  
  • ধারা 80D এর অন্তর্গত ট্যাক্স ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
  • সবশেষে, এটি আপনাকে ও আপনার প্রিয় পরিবারকে রক্ষা করে এবং আপনার সঞ্চয়কে রক্ষা করে।

সঠিক হেল্থ ইনসিওরেন্স নির্বাচনের জন্য কি কি বিষয় বিবেচনা করা উচিত

নিজের প্রয়োজন অনুসারে সঠিক একটি হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যান এবং উপযুক্ত একটি কোম্পানি বেছে নেওয়ার জন্য এইগুলি খেয়ালে রাখুন-   

  • হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যানের ‘ইনক্লুশন’ ও ‘এক্সক্লুশনের’ শর্তগুলি স্পষ্টভাবে জানুন: আর্থিক সুরক্ষা (ইনক্লুশন) সম্পর্কে অজানা থাকলে অকারণে অতিরিক্ত খরচ হয়ে যাবে। আর যে শর্তগুলির বিপক্ষে দাবি করা যাবে না (এক্সক্লুশন) তা অজানা থাকলে আপনার দাবি অগ্রাহ্য হতে পারে।
  • পরিকল্পনার পরিসীমা (রেঞ্জ অব প্ল্যানস): হেল্থ ইনসিওরেন্স কোম্পানির দেওয়া বিভিন্ন ধরনের প্ল্যান বিচার বিবেচনা করে দেখুন আর আপনার আর্থিক সুরক্ষার চাহিদা অনুযায়ী সঠিক প্ল্যানটি বেছে নিন।
  • পলিসি প্রিমিয়াম অ্যান্ড সাম ইনসিওরড: আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে আর্থিক সুরক্ষা পাওয়ার বিনিময়ে প্রিমিয়াম দেবেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই সুরক্ষা যত বেশি এবং বিস্তৃত হবে, প্রিমিয়ামের পরিমাণও তত বেশি হবে। আর্থিক সুরক্ষা ও প্রিমিয়ামের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বুঝে নিন।
  • অপেক্ষার সময়সীমা বা ওয়েটিং পিরিয়ড: পলিসি কেনার আগে অপেক্ষার সময়সীমা জেনে নিন, কারণ এই সময়ে আপনি হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যানের বিরুদ্ধে দাবি করতে পারবেন না।
  • ক্লেইম সেটলমেন্ট রেশিও: এই অনুপাত নির্দেশ করে হেল্থ ইনসিওরেন্স কোম্পানিটি একটি আর্থিক বছরে কত শতাংশ দাবি সুরাহা করেছে। এই অনুপাত যত বেশি আপনার পক্ষে ততই ভালো। যেমন ACKO র ক্লেইম সেটলমেন্ট রেশিও ৯৮%।
  • স্পেসিফিক ডিজিসেস অ্যান্ড ইলনেস: বিশেষ কিছু অসুখ ও তার চিকিৎসায় নির্দিষ্ট সময়ের পরে আর্থিক সুরক্ষা পাওয়া যায়, যেমন পাইলস, ফিশচুলা, হার্নিয়া ইত্যাদি। আপনার হেল্থ ইনসিওরেন্স কোম্পানি এই সুরক্ষা দিচ্ছে কি না জেনে নিন।
  • অ্যাড-অন কভারের প্রাপ্যতা: আপনি আপনার পছন্দসই অ্যাড-অন বেছে নিয়ে আপনার হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যানটি নিজের পছন্দমতো সাজিয়ে নিতে পারেন। যার মধ্যে আছে মাতৃত্বকালীন সুযোগসুবিধা, মুদ্রাস্ফীতির থেকে সুরক্ষা ইত্যাদি। প্রতিটি অ্যাড-অন কভারের জন্য একটি করে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম দিতে হয়।
  • প্রি/পোস্ট হসপিটালাইজেশন কভারেজ: দেখে নিন আপনার হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসি এই হাসপাতালে ভর্তির আগের ও পরের খরচ দিচ্ছে কি না।
  • কো-পেমেন্ট ধারা: এই ধরনের হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসিগুলির খরচ কম কিন্তু ক্ষতিপূরণও কম দেয় কারণ এক্ষেত্রে হাসপাতালের বিলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পলিসি হোল্ডারকে বহন করতে হয়।
  • নেটওয়ার্ক হাসপাতালের প্রাচুর্য: হেল্থ ইনসিওরেন্স কোম্পানির হাসপাতালের একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক আছে কি না তা জেনে নিন যেখানে আপনি ক্যাশলেস চিকিৎসা পেতে পারেন। এর ফলে  চিকিৎসার সময় আপনাকে অনেক কম অর্থ ব্যয় করতে হবে।
  • প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা: কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিস, ক্যানসার, লাইফস্টাইল ডিজিস ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় সাস্থ্য পরীক্ষার খরচ আপনার হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসি দেবে কি না নিশ্চিতরূপে জেনে নিন।
  • সঠিক হেল্থ ইনসিওরেন্স কোম্পানি নির্বাচন করুন: হেল্থ ইনসিওরেন্সের ক্ষেত্রে ইনসিওরেন্স কোম্পানির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দাবি প্রক্রিয়াকরণের গতি অনুযায়ী সবচেয়ে সেরা কোম্পানিটিকে বেছে নিন। অনলাইনে আপনার জন্য নির্ভরযোগ্য হেল্থ ইনসিওরেন্স কোম্পানি খুঁজে নিন এবং প্রস্তাবিত পরিষেবা সম্পর্কে আরও জানতে কাস্টমার রিভিউ অবশ্যই দেখুন। ACKO কাস্টমারের সংখ্যা ৭.৫ কোটি।

হেল্থ ইনসিওরেন্স কেনার সময় কী কী মনে রাখবেন

একটি হেল্থ ইনসিওরেন্স কেনার সময় এই বিষয়গুলি অবশ্যই মনে রাখুন:

  • আপনার হেল্থ ইনসিওরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করবেন না।
  • একটি হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যান কেনার সময় আপনার চিকিৎসা সংক্রান্ত ইতিহাস সঠিকভাবে জানান।
  • আপনি পলিসি কেনার আগে বিশদভাবে পলিসি তথ্যে যা যা লেখা আছে পড়ুন এবং কোন জিজ্ঞাসা বা সন্দেহ থাকলে হেল্থ ইনসিওরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে আপনার সন্দেহগুলি পরিষ্কার করে নিন।
  • সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হেল্থ ইনসিওরেন্স কোম্পানি নির্বাচন করুন।
  • আপনার এবং আপনার ওপর নির্ভরশীল পরিজনদের প্রয়োজন অনুসারে যোগ্য একটি হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যান নির্বাচন করুন।

উপসংহার 

মূল্যবৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যসেবার খরচ দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। তাই যদি আপনার একটা হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসি থাকে তবে আপনার অথবা আপনার প্রিয়জনের চিকিৎসার জরুরি প্রয়োজনে এটি আপনাকে নিশ্চয়তা দেবে। স্বাস্থ্যখাতে খরচ আপনার পক্ষে কষ্টকর হয়ে উঠবে না। তাই আপনার আর্থিক পরিকল্পনা করার সময় হেল্থ ইনসিওরেন্স পলিসির কথা অবশ্যই ভেবে দেখুন। এইভাবে সংকটের সময়ে আপনি আর্থিক বিষয়ে চিন্তা না করে কেবলমাত্র আপনার স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের উপর নজর দিতে পারেন। তাহলে আর কীসের জন্য অপেক্ষা করছেন? অবিলম্বে ACKO সঙ্গে যোগাযোগ করুন!

সতর্কীকরণ (ডিসক্লেমার): এই নিবন্ধটি ব্র্যান্ডের পক্ষে এইচটিব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই প্রবন্ধ লেখার কাজে HT Media-র কোনও সাংবাদিক নিযুক্ত ছিলেন না। এই প্রবন্ধে লেখা তথ্যের সত্যনিষ্ঠতা, প্রাসঙ্গিকতা, যথার্থতা, বৈধতা নিয়ে কোনও দাবি করে না HT Media।

ব্র্যান্ড পোস্ট খবর

Latest News

কলকাতায় বাংলাতেই লেখা হোক সাইনবোর্ড, ধ্রুপদী স্বীকৃতির পরে নতুন করে ভাবছে পুরসভা পটাশপুরে মৃতার ময়নাতদন্তে অখুশি গোটা পরিবার, দেহ নিতে অস্বীকার, মামলার হুমকি IND vs BAN 1st T20I: ৪৯ বল বাকি থাকতেই জয়! নতুন ইতিহাস লিখল সূর্যকুমারের ভারত পুজোয় ডিম দিয়ে রেঁধে ফেলুন ঠাকুরবাড়ির বিশেষ পদ ‘চাও চাও’, রইল রেসিপি মুরগির রোস্ট নয়, এবার বানান ইলিশ মাছের রোস্ট! জমে যাবে পুজোর দুপুর বিগ বস না টাকার খনি! ১৮তম সিজনে ২৫০ কোটি টাকা নিচ্ছেন সলমন খান,এপিসোড পিছু আয় কত ভেসে গেল বাবা-ছেলে, ভূমিধসের বলি মা-মেয়ে, গারো পাহাড়ের দুর্যোগে মৃত বেড়ে ১৫ প্রতীকী অনশনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের জুনিয়ররা, দাবি না মানলে আমরণ অনশন বিশ্বকাপে মারকাটারি ক্রিকেট ডটিনদের, স্কটিশদের খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিল ওঃইন্ডিজ 'কত ওষুধ খাই তাও ঘুমোতে পারি না…বাবারা চলে গেলে সব শেষ',বাবার স্মৃতিতে স্বস্তিকা

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.