করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার সন্দেহে মঙ্গলবার পারাদ্বীপ বন্দরে স্ক্রিনিং করা হল ভারতীয় দম্পতিকে। পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করলেন বিশেষ চিকিত্সক দল।
পারাদ্বীপ পোর্ট ট্রাস্ট চেয়ারম্যান রিঙ্কেশ রায় জানিয়েছেন, রবিবার বন্দরে এসে পৌঁছানো পণ্যবাহী জাহাজের এক কর্মীর শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয়। তিনি জানিয়েছেন, ‘জাহাজটি সিঙ্গাপুর, হংকং ও জাপানের বন্দরে এক মাসের বেশি সময় নোঙর করেছিল। তবে জাহাজের কোনও কর্মী ওই সমস্ত বন্দরে নামেননি। সোমবার আমাদের জানানো হয়, জাহাজের এক কর্মীর শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। জাহাজে তার সঙ্গী ওই কর্মীর স্ত্রীর শরীরে তেমন কোনও লক্ষণ দেখা না দিলেও, তাঁকেও পরীক্ষা করা হয়।’
পোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দর থেকে বেরোনোর পথে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ দিকে, বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ দিন জানিয়েছে, বিদেশ থেকে আসা সমস্ত যাত্রীর শরীরে নোভেল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পরীক্ষা আবশ্যিক করা হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারির পরে করোনাভাইরাস সংক্রামিত দেশ থেকে আসা ১১৫ জন যাত্রীকে চিহ্নিত করেছে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর। তাঁদের সবাইকে বাড়িতে কোয়্যারান্টাইন বা বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সন্ধানে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে কারও শরীরেই এই ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন রাজ্য কন্ট্রোল রুমের চিকিত্সক অর্ঘ্য প্রধান।