খাদ্য দফতরে ৪৮০টি শূন্যপদে সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত অগস্টে। এই মর্মে গত ২২ অগস্ট জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি। পাবলিক সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ৪৮০টি শূন্যপদের জন্য এখনও পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে ১৩ লাখেরও বেশি। এই আবহে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাতে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ না ওঠে এবং স্বচ্ছ ভাবে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করা সম্ভব হয়, তার জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশন পদক্ষেপ করতে চলেছে। জানা গিয়েছে, গত ২৩ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল খাদ্য দফতরের এসআই পদে আবেদনের প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়া চলে গত ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, খাদ্য দফতরের সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক পাস। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, অনেক উচ্চ শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীরাই আবেদন করেছেন এই পদের জন্য। এর আগে শেষবার ২০১৮ সালে খাদ্য দফতরের ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ করেছিল সরকার। দীর্ঘ পাঁচবছর পর ফের একবার এই পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। তবে বিগত কয়েক বছরে যেভাবে প্রায় সব সরকারি নিয়োগেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, এর প্রেক্ষিতে সতর্ক পাবলিক সার্ভিস কমিশন। আর তাই বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে তারা। যার ফলে চাকরিপ্রার্থীদের হাতেই থাকবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার চাবিকাঠি।
ফুড সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করতে চলেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন? জানা গিয়েছে, এই পদে নিয়োগের জন্য যে পরীক্ষা হবে, তার প্রশ্ন হবে মাল্টিপল চয়েস ফর্ম্যাটে। এই আবহে মাল্টিপল চয়েস উত্তরপত্রের কার্বন কপি নিজেরা নিয়ে যেতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে সময় মতো মডেল উত্তরপত্রও প্রকাশ করা হবে। এর ফলে চাকরিপ্রার্থীরা নিজেরাই বুঝতে পারবেন যে কে কত নম্বর পাবে। এই আবহে কারচুপি রোধ সম্ভব হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীদের ইন্টারভিউ রাউন্ডে বসতে হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালেও খাদ্য দফতরের সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিল প্রায় ১১ লাখ প্রার্থী। সেবারও অনেক উচ্চ শিক্ষিত স্নাতোকত্তর ডিগ্রিধারক আবেদন জানিয়েছিলেন। অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা পড়ুয়াও আবেদন করেছিলেন এই পদের জন্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১১ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রার্থীই স্নাতোকত্তর ছিলেন। এবারও হাল সেরকমই।