সম্ভবত বাতিল হচ্ছে না সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হবে। আগামী ৩০ মে পরীক্ষার সূচি এবং ধরণ ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’।
চলতি বছর ৪ মে থেকে সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরুর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। ঠিক হয়েছিল, ১ জুন পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও এখনও করোনা সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পৌরহিত্যে সব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষাসচিবদের সঙ্গে বৈঠক হয়। ছিলেন কেন্দ্রের শীর্ষ আধিকারিকরা। সেই বৈঠকের পর পোখরিয়াল জানান, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের থেকে ‘অত্যন্ত মূল্যবান’ পরামর্শ পাওয়া গিয়েছে। তাও মঙ্গলবারের মধ্যে বিস্তারিত পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় নিয়ে আমরা শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব। সেইসঙ্গে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মনে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে পারব।’ একইসঙ্গে পোখরিয়ালের আশ্বাস, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে পড়ুয়া, শিক্ষকদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
রবিবারের বৈঠকে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া দাবি তোলেন, প্রথমে পড়ুয়াদের করোনাভাইরাস টিকা দিতে হবে। তারপর উচ্চ মাধ্যমিক-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘পড়ুয়াদের সুরক্ষার সঙ্গে ছিনিমিনি খেলে পরীক্ষার আয়োজনের বিষয়টি বড় ভুল হতে পারে। প্রথমে টিকা, তারপর পরীক্ষা। দেশজুড়ে দ্বাদশ শ্রেণির ১.৫ কোটির বেশি পড়ুয়া আছে। ৯৫ শতাংশ বয়স সাড়ে ১৭-এর বেশি। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা উচিত কেন্দ্রের, যাতে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া যায়।’
তবে ভারতীয় সংস্থার টিকার পরিবর্তে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বিদেশি টিকা প্রদান করারও প্রস্তাব দিয়েছেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী সিসোদিয়া। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের টিকাকরণের জন্য ফাইজারের সঙ্গে কথা বলা উচিত কেন্দ্রের। পড়ুয়াদের টিকাকরণ আবশ্যিক। বিশেষত বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ শিশুদের জন্য ভয়ংকর হবে।’